
শীতের শুরুতেই কোভিড-১৯ মহামারীতে ইউরোপজুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার মহাদেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা এই দুঃখজনক মাইলফলক পার হয় বলে জানিয়েছে রযটার্সের টালি। অঞ্চলটিজুড়ে শীত নেমে আসতে থাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা সামনে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষগুলোর।
কোভিড-১৯ মহামারীতে বিশ্বজুড়ে ১২ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে, এরমধ্যে এক-চতুর্থাংশের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইউরোপে। যদিও বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশের বাস এ মহাদেশটিতে। ইউরোপের উন্নত হাসপাতালগুলোও মৃত্যুর এ মিছিল ঠেকাতে পারছে না। বছরের প্রথম দিকে কঠোর লকডাউন জারি করে মহামারীর ওপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল ইউরোপের দেশগুলো। কিন্তু গ্রীষ্মের পর লকডাউন শিথিল করার কিছুদিনের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করে, সংক্রমণের এ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারগুলো ফের বিধিনিষেধ আরোপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে। সব মিলিয়ে ইউরোপে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটি ২৮ লাখ দাঁড়িয়েছে আর মৃত্যু হয়েছে প্রায় তিন লাখ ১১৪ জনের। গত সপ্তাহজুড়ে এর আগের সপ্তাহ থেকে ১০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে একদিনে দুই লাখ ৮০ হাজার রোগী শনাক্তের ঘটনাও ঘটেছে। এ সময় বিশ্বজুড়ে যত রোগী শনাক্ত হয়েছে তার অর্ধেকেরও বেশি ধরা পড়েছে ইউরোপে।
ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি ও রাশিয়া একদিনে কয়েকশত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে। মহাদেশে মোট মৃত্যুর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এ পাঁচটি দেশে ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসব দেশের সরকারগুলো স্থানীয়ভাবে কারফিউ, প্রয়োজনীয় নয় এমন দোকানপার্ট বন্ধ ও চলাফেরায় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। আমাদের দেশে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। আসুন আমরা সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি। বাইরে বের হলেই মাস্ক ব্যবহার করি।
সম্পাদকীয়
করোনায় ইউরোপে মৃত্যু ৩ লাখ ছাড়াল
শীতের শুরুতেই কোভিড-১৯ মহামারীতে ইউরোপজুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার মহাদেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা এই দুঃখজনক মাইলফলক পার হয় বলে জানিয়েছে রযটার্সের টালি। অঞ্চলটিজুড়ে শীত নেমে আসতে থাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা সামনে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষগুলোর।
কোভিড-১৯ মহামারীতে বিশ্বজুড়ে ১২ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে, এরমধ্যে এক-চতুর্থাংশের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইউরোপে। যদিও বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশের বাস এ মহাদেশটিতে। ইউরোপের উন্নত হাসপাতালগুলোও মৃত্যুর এ মিছিল ঠেকাতে পারছে না। বছরের প্রথম দিকে কঠোর লকডাউন জারি করে মহামারীর ওপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল ইউরোপের দেশগুলো। কিন্তু গ্রীষ্মের পর লকডাউন শিথিল করার কিছুদিনের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করে, সংক্রমণের এ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারগুলো ফের বিধিনিষেধ আরোপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে। সব মিলিয়ে ইউরোপে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটি ২৮ লাখ দাঁড়িয়েছে আর মৃত্যু হয়েছে প্রায় তিন লাখ ১১৪ জনের। গত সপ্তাহজুড়ে এর আগের সপ্তাহ থেকে ১০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে একদিনে দুই লাখ ৮০ হাজার রোগী শনাক্তের ঘটনাও ঘটেছে। এ সময় বিশ্বজুড়ে যত রোগী শনাক্ত হয়েছে তার অর্ধেকেরও বেশি ধরা পড়েছে ইউরোপে।
ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি ও রাশিয়া একদিনে কয়েকশত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে। মহাদেশে মোট মৃত্যুর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এ পাঁচটি দেশে ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসব দেশের সরকারগুলো স্থানীয়ভাবে কারফিউ, প্রয়োজনীয় নয় এমন দোকানপার্ট বন্ধ ও চলাফেরায় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। আমাদের দেশে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। আসুন আমরা সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি। বাইরে বের হলেই মাস্ক ব্যবহার করি।