
পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না এলেও বেশ কিছুদিন করোনাভাইরাস শনাক্তের হার বলতে গেলে অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু পরপর কয়েকদিন ধরে সেই হার বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের সর্বশেষ হিসাব তুলে ধরে বলছে, দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ২৩৯তম দিনে শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করছে, করোনাভাইরাস আবারও একটা নাজুক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্যান্য নীতিনির্ধারকরাও এরই মধ্যে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে, শীতের মৌসুমে করোনা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। সে জন্য সরকার প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে।
আমরা এরইমধ্যে দেখেছি, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নতুন করে ব্যাপক হারে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ তা ঠেকাতে লকডাউন এবং অন্যান্য বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। কিন্তু তারপরও করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভকে ঠেকাতে পারছে না দেশগুলো। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের মতো দেশকেও দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। আমরা দেখেছি, গত মার্চের পর শনাক্তের সংখ্যা যতই বেড়েছে, মানুষকে ততই বিপদে পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে চিকিৎসাসেবা পেতে। তার বাইরেও নানা সীমাবদ্ধতার কথা আমরা জানি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে আমাদের।
আরেকটা বিষয় হলো বিদেশ ফেরতদের বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ টেস্ট। এর কোনো বিকল্প নেই। শুরুর দিকে এ ব্যাপারে শিথিলতা এবং তার ফলাফলও আমরা জানি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউরোপের উদাহরণ টেনে বিমানবন্দরসহ দেশের সবগুলো প্রবেশপথে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ পরীক্ষার পাশাপাশি বিদেশ ফেরতদের কোয়ারান্টাইনে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
আমরা মনে করি, শুরুর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউকে মোকাবিলা করতে হবে। তবে এ জন্য জনগণকেও সচেতন হতে হবে। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।