
কলকাতার কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন। তার সম্পর্কে ঢাকা-কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান বললেন, বিশ্ব–চলচ্চিত্রের অভিনয়ের প্রথম সারিতেই তার স্থান।
রবিবার দুপুরে মারা যান সৌমিত্র। ফেইসবুকে তার সম্পর্কে বলছিলেন জয়া।
অভিনয়ে প্রসঙ্গে বলেন, “পর্দায় তিনি যখন অভিনয়ের গরিমা ঝেড়ে ফেলে চরিত্রের আচরণ ফুটিয়ে তুলেছিলেন, ভারতবর্ষের শিল্পভুবনে সেটা শুধু বিস্ময়কর একটা ঘটনাই ছিল না, ছিল এক নতুন যুগের শুরু।”
আরও বলেন, “বিশ্ব–চলচ্চিত্রের অভিনয়ের প্রথম সারিতেই তার স্থান। কিন্তু অমন যে ইতিহাসের স্রষ্টা, অমন যে শিখরে ওঠা শিল্পী, মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন এক মহাসাগর। যে মহাসাগর অতলান্ত, কিন্তু শান্ত। তার মৃত্যু নেই।”
৬ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এর পরের ৪০ দিন একের পর এক জটিলতার সঙ্গে লড়েছেন তিনি। শনিবার নাগাদ চিকিৎসকেরা সব আশা ছেড়ে দেন। পর দিনই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সৌমিত্রর পরিবারের আদি বাড়ি ছিল বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কাছে কয়া গ্রামে। তিনি ১৯৩৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
তার উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে— অপুর সংসার, ক্ষুধিত পাষাণ, দেবী, স্বরলিপি, তিনকন্যা, পুনশ্চ, অতল জলের আহ্বান, অভিযান, বর্ণালী, প্রতিনিধি, চারুলতা, আকাশকুসুম, মনিহার, হঠাৎ দেখা, অজানা শপথ, অরণ্যের দিনরাত্রি, বসন্ত বিলাপ, অশনি সংকেত, দত্তা, জয় বাবা ফেলুনাথ, দেবদাস, গণদেবতা ও হীরক রাজার দেশে।