
কয়দিন ধইরে মনে হচ্চে চোক দেকাতি ডাক্তার বাড়ি যাবো। খালি মনে হচ্চিল চোকি ন্যাবা হইলো কিনা। সব উজোনভাটি দেকতিচি। চারিদিকি দেকতিচি মরা গরীবগের জন্যি সরকার ১০ টাকা কেজি দরে যে চাইল দেচ্চে সেই চাইল নিতি আইসতেচে পালসার চালায়ে। পেত্তমে জিনুসটা দেইকে ভাবলাম ভুল দেকতিচি কিনা। পরে দেকলাম চোকির সুমকি দিয়ে পালসার দাবড়ায়ে চইলে গ্যালো।
করোনার সুমায় সরকার ২৫০০ কইরে টাকা দিলো গরীব মানসির জন্যি। সেই সহযোগিতা সব নিতি আইলো দামি টাচ মুবাল হাতে কইরে। অনেকে হাউস কইরে টাচ মুবাল দিয়ে জনপোতিনিধিগের সাতে সেলফীও তুইলে নেটে ছাড়িল। সেদিন দেকলাম এক বিটি বিধবা ভাতা নিতি আইয়েচে বরের সাতে চাজ্জিং ভ্যানে চইড়ে। মাতৃত্ব কাল দুইদে ভাতা নিয়ে যাচ্চে অবিয়েত্ত মাইয়েরা, খাতের থাকলি যা হয় আর কি! জুয়ান লোকে তোলচে বয়স্ক ভাতা। একজনরে ডাইকে জিজ্ঞেস কল্লাম ফ্যারাডা কি, তোর তো পঞ্চাশ পার হইয়েচে কিনা সন্দো, বয়স্ক হলি কি কইরে? সে কলে বয়স কম হলিও দাইতে গিচি। বিশ্বেস না হয় ভুটার কাড দেকোগো। জুয়ান মদ্দ ছ্যামড়া তুইলতেচে পোতিবন্দী ভাতা। একজনের কাচে জানতি চালাম ওর তো শরীলি কোন পোবলেম নেই, তালি কোন কুটায় পোতিবন্দী কাড পালে? তাই শুইনে একজন কলে ভোটের আগে পোতিপক্কের প্রাত্তীর নামে সুমানে কুকতা গাবায় বেড়ায়লো। একদিন সুযোগ মতো হাতে নাতে ধইরে তারে ডলা দিলো ঐ পক্কের লোক। একন তার নিতা ভোটে জিতেচে। ডলা খাওয়ার পোতিদান কি আর দেবে তাই এট্টা পোতিবন্দী কাড কইরে দেচে। সরকার সাধারণ মানসির দিয়ার জন্যি ইরাম নানা সুবিদে দেচ্চেন সেই সুবিদে কারা পাচ্চে সিডা দেকার দায়িত্ব যাইগের তারাও গা বাচাতি ডাবি মাইরে থাকচে।
হালি কইরে নতুন এক নিয়ম চালু হইয়েচে সব জাগায়। খুলা জাগায় লোক জড়ো কইরে কচ্চে উন্মুক্ত পদ্দতিতে ভাতাভুগী বাচাই করা হচ্চে। কিন্তু বড় আচ্চার্যের বিষয়, বাছাইতো আগেত্তে কইরেই নিয়ে আইসতেচে। স্যানে আর নতুন কইরে বাছাই কি করবে কওদিনি বাপু। একনো বহুত জাগা আচে, য্যানে টাকা ছাড়া এই সব কাড ছাড়া হয় না। ফ্যালো কড়ি মাকো তেল। কিন্তুক কতি গেলি কবে ভুল সব ভুল। কারো চোকি পড়চেনা যকন, তালি মনে হয় আমারি চোকি সমিস্যা হইয়েচে।
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮৮৭১০০৩