
বগুড়ায় ব্যবসায়ী হযরত আলী হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় প্রধান আসামিসহ অপর ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়ার আদেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বগুড়া শহরের নিশিন্দারা উত্তরপাড়ার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মিলন ওরফে মারুফ রায়হান (৩৫), নিশিন্দারা আকন্দপাড়ার মহিদুল ইসলামের ছেলে মানিক (২২) ও নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার মাসুম মোল্লার ছেলে সাঈদী (২৫)।
মামলায় খালাস প্রাপ্তরা হলেন- বগুড়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম মন্ডল, সুজন, শাওন, শাহিনুর ও কাজিম।
রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মতিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে মামলায় খালাসপ্রাপ্ত আসামি সুজন কৌশলে হযরত আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে মোটরসাইকেলযোগে নিয়ে যায়। হযরত আলীর বাড়ির অদুরে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসের সামনে তাকে নেওয়ার পর অন্য আসামিরা রাম দা দিয়ে তাকে কুপিয় হত্যা করে।
এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের মা মেরিনা মেরিনা বেগম বাদী পৌর কাউন্সিলর জহুরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নামে বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
দুইজন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর মামলাটি সিআইডিতে পাঠানো হয়।
সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক ছকির উদ্দিন একই বছরের ২৯ নভেম্বর এজাহারে উল্লিখিত ৮জনের নামে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
এরপর বিচার কাজ চলাকালে সাক্ষীদের জবানবন্দি নেয়া শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হয়।