
যশোরের পুরাতনকসবা ঘোষপাড়ার জিলানীর বাগানে সংঘবদ্ধ ভয়ংকর খুনী চক্রের অবাধ আনাগোনা ও আড্ডা চলছে। গত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর কয়েকটি হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট ডজন খানেক অপরাধীর যোগাযোগস্থল ও অপরাধের পরিকল্পনাস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে এ বাগান। পাশের ঢাকা রোড বাঁশতলা স মিলে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চালাচ্ছে জুয়ো ও নেশার আসর।
স্থানীয়রা দ্রুত ওই দুটি স্পটে পুলিশি অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্টদের আটক দাবি করেছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি ঘোষপাড়ার জিলানীর বাগানে কয়েকটি হত্যা মামলার চিহ্নিত আসামি ও হত্যায় জতিড় অভিযুক্ত উঠতি দৃর্বৃত্তচক্র ও ছিনতাই চাঁদাবাজিতে লিপ্ত ডজনখানেক অপরাধী নিয়মিত ওঠাবসা করছে। সকাল থেকে দিনের বিভিন্ন সময় এবং সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চক্রটি এখানে আড্ডায় মিলিত হচ্ছে। তাদের সাথে যোগ দিচ্ছে শহর ও শহরতলীর চিহ্নিত আরো অনেকে। ওই বাগানে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, ভয়ংকর ওই খুনী চক্রের মধ্যে প্রাইভেট চালক আব্দুল কুদ্দুসের (৪৮) খুনীরাও রয়েছে। ঘটনার পরপরই তারা গা ঢাকা দিলেও আবার তারা এই বাগানে আসা যাওয়া করছে। ছেলে বিপ্লবের মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত গোলযোগ ও পাওনা টাকা লেনদেন দ্বন্দ্বে পড়ে খুন হওয়া আব্দুল কুদ্দুসের খুনীরা ওই বাগানেই নিয়মিত আড্ডা দিচ্ছে। এছাড়া যশোর উপশহর শিশু হাসপাতালের সামনে খুন হওয়া ইমুর খুনীরাও ওই বাগানে আস্তানা গেড়েছে। এছাড়া শহরের আরো কয়েকটি হত্যা ও আলোচিত অপরাধে সংশ্লিষ্টদের আনাগোনা ওই বাগানে। মাদকের বড় বড় চালান ওই বাগান থেকে হাত বদল হচ্ছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
এদিকে, ঢাকা রোড বাঁশতলা এলাকায় আব্দুল কাদেরের স মিল রাতে দখলে নেয় স্থানীয় একটি অপরাধীচক্র। কারেন্ট মিস্ত্রির কাজ করার অন্তরালে এক যুবক এখানে বসাচ্ছে জুয়োর আসর। এখানে হাত বদল হচ্ছে টাকা। তাসের মাধ্যমে চলছে জুয়ো। তার সাথে এলাকার আরো কয়েক যুবক ও স মিলে নেশার আসরও বসাচ্ছে। মিল মালিকের অজ্ঞাতে ওই মিলটি ব্যবহার হচ্ছে। রাতে জুয়ো ও নেশার আসরের কারণে এলাকার উঠতি যুবকরা বখে যাচ্ছে। একই সাথে জুয়োতে সর্বশান্ত হচ্ছে জুয়াড়িরা। এ ব্যাপারে ওই চক্রের আটক দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
এসব বিষয় নিয়ে যশোর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হবে। খুনী অস্ত্রধারীদের ও মাদক কারবারী অপরাধীদের তথ্য পেলে পুলিশ তাকে আটক করবে। সে যে দল বা মত পথের হোক। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার বা চাঁদাবাজি, এমনকি যে কোন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে সংবাদ দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহাবান জানিয়েছেন।