
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঁচ পাওয়া গেছে যশোরে। প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। মঙ্গলবার সকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের ল্যাবে ৫৮টি নমুনা পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে ১৮জনকে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষিত নমুনায় শনাক্ত রোগীর শতকরা হার ৩১.০৩ শতাংশ। যা আগের দিনের চেয়ে দ্বিগুন। স্বাস্থ্য বিভাগ এ পরিস্থিতিতে ভয়াবহ পরিণতির আশংকা করছে।
সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, যবিপ্রবি’র জিনোম সেন্টার থেকে ৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ১৮ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলারই ১৪জন। এছাড়া শার্শা, চৌগাছা, কেশবপুর ও অভয়নগর উপজেলার একজন করে বাসিন্দা রয়েছেন।
সিভিল সার্জন আরও জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্যে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু মানুষ তা মানছে না। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি উপেক্ষিত। এ কারণে প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সোমবার ৯৫টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ১৭জনের করোনা পজিটিভ আসে। এদিন পরীক্ষিত নমুনায় শনাক্ত রোগীর শতকরা হার ছিল ১৫.৬২ শতাংশ। মঙ্গলবার শনাক্ত রোগীর শতকরা হার দ্বিগুন হয়ে গেছে। এটি অত্যন্ত আশঙ্কার বিষয়। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ে মেডিকেল অফিসার ও মিডিয়া ফোকাল পার্সন ডাক্তার রেহেনেওয়াজ রনির দেয়া তথ্য মতে, গত ১০ মার্চ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার আটটি উপজেলা থেকে করোনা সংক্রমিত সন্দেহভাজন ১৯ হাজার দু’শ’ ৪৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ফলাফল এসেছে ১৯ হাজার দু’শ’ তিন জনের। প্রাপ্ত ফলাফলে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে চার হাজার দু’শ’ ৪৫জন। যার শতকরা হার ২২.১১ ভাগ। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন চার হাজার সাতজন। মৃত্যু হয়েছে ৫০জনের।