
ঝালকাঠির কাঠালিয়ার উত্তর চেঁচরী গ্রামের আবুল হোসেন খন্দকার ও চাঁন মিয়ারপৈত্রিক সম্পত্তির গাছ কেটে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ঘর নির্মান করেছেন একই গ্রামের বাবুল খন্দকার ও তার দলবল। গাছ কাটা ও ঘর তুলতে বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষ বাবুল খন্দকার ও তার ভাড়াটিয়া শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনীঅসহায় আবুলকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। বুধবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় কাঠালিয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আবুল হোসেন খন্দকার লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।
বক্তব্যআবুল হোসেন খন্দকার বলেন,দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বাবুল খন্দকার এবং হাদিস খন্দকারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। আমাদের ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমিতে প্রতিপক্ষরা জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) মোঃ বাবুল ও মোঃ হাদিস খন্দকারভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের ভোগ দখলকৃত জমির শতশতগাছ কেটে ফেলে এবং ওই স্থানে একটি ঘর উত্তোলণ করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে সন্ত্রসীরা পালিয়ে যায়। পরে উভয় পক্ষকে স্ব-স্ব জায়গায় অবস্থান করার নির্দেশ দেন পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ নভেম্বর ২০১৭ তারিখ চেঁচরীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম্য আদালত সালিশ ব্যবস্থার মাধ্যমে রোয়েদাদ প্রদান করেন। তাতে বাবুল খন্দকার এবং হাদিস খন্দকারের স্বাক্ষর রয়েছে। অথচ তিন বছররের মধ্যে তারা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ঘর নির্মান করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বড় ভাই আমির হোসেন ও মামা চাঁন মিয়া।
কাঠালিয়া থানার এস আই আমিনুল ইসলাম জানান “আবুল হোসেনের অভিযোগটি আমি মামলা আকারে কোর্টে প্রেরণ করব। বাবুল খন্দকার এবং হাদিস খন্দকার কোনো সালিশ মিমাংসা মানছে না। তারা ক্ষমতার জোরে জমি ভোগ দখল করতে চাচ্ছেন”।