
যশোরের বাঘারপাড়ায় উপজেলা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’ পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলু পাটোয়ারী ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-১২। মামলার চার আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। নৌকা প্রতীকের কর্মী ও ইন্দ্রা গ্রামের আবু জাফর মোল্লার ছেলে জাকির হোসেন মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জহুরপুর ইউনিয়নের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পিএম রেজাউল ইসলাম দ্বীন মোহাম্মদ ওরফে দিলু পাটোয়ারীকে। অন্য আসামিরা হলেন দোহাকুলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ছরোয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শচীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুন্সি বাহার উদ্দিন, ইন্দ্রা গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে ফুল মিয়া, আব্দুর রহিমের ছেলে সাহেব আলী, জলিল শিকদারের ছেলে ও ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম, মোকাম মোল্লার ছেলে বাহারুল ইসলাম, সিরাজ মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম, মৃত ইসরাইল বিশ্বাসের ছেলে হায়দার আলী, হাবিবার তরফদারের ছেলে পিকুল, গহুর মোল্লার ছেলে আসিকুল, মৃত মাহাতাব মোল্লার ছেলে শুকুর আলী ও মৃত খয়বার মোল্লার ছেলে রবিউল ইসলাম, মহিরণ গ্রামের মৃত আলেক মোল্লার ছেলে মিঠু, নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে ও যুবলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন হিরা ও ধুপখালি গ্রামের ওহাব কাজীর ছেলে হুমায়ুনসহ অজ্ঞাত নামা ১০-১২ জন।
মঙ্গলবার রাত সোয়া নয়টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলু পাটোয়ারী নারিকেলবাড়িয়া থেকে ইন্দ্রা বাজারে এসে কর্মী সমর্থকদের সাথে কথা বলার সময় নৌকা মার্কার সমর্থক তরিকুল ইসলামের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে দু’ পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে ১৫ জন আহত হন।
বাঘারপাড়া থানার ওসি সৈয়দ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সাহেব ও পিকুলকে বাঘারপাড়া থেকে এবং আব্দুর রব ও রবিউলকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আটক করা হয়েছে। রব ও রবিউল মঙ্গলবারের সংঘর্ষে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদেরকে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা করানো হচ্ছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বাঘারপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম কাজল হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে পদটি শূন্য হয়।