
সেদিন আমার এক কুটুম হটাস আড়ায় পইড়েচে। স¹লি তারে হাতাসিং কইরে ভ্যানে চড়ায়ে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্চে। ইরাম সুমায় হাসপাতালে ঢুকার সিং দরজার সুমকিত্তে কিচু লোক চিলির মতো ছো মাইরে তারে ঘিরে ধইরেচে। ভাবডা ইরাম, মার চাইতে মাসীর দরদ বেশী। রুগী ভ্যানের ওপর শুয়ে থাকার মদ্দি তাইগের পরীক্কে শেষ, কলে যদি এরে বাচাতি চাও তালি যা কচ্চে সিডা খুব খিয়াল দিয়ে শুনতি হবে। রুগীর লোকেগের ঝুমা পোক দেলে, কলে সদরে লাইনে দাড়ায়ে ককন ভত্তি হবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। যদিও বা ভত্তি হতি পারে শুয়ার কোন বেড পাবে না, মাইজেয় গড়োতি হবে। হাত পায় ধল্লিও ওয়াডের কেউ তাগায়ও দ্যাকপে না। আর ডুমোর গাছের ফুল মন চালি হয়ত দেকতি পারবা, কিন্তুক সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারতো দুরির কতা ডাক্তারের ছায়াও খুইজে পাবা না। এরমদ্দি অবশ্যি তুমাগের গাড়িঘুড়া ঠিক কত্তি হবে বাড়ি ফিরার জন্যি। কারন ততক্ষন অবহেলায় পইড়ে থাইকে রুগীর পটল তুলা সারা। ইরাম কায়দায় নজর বন্দি কইল্লো তাইগের বুদ্দিতি রুগীরে তাইগের কওয়া মুতাবেক ক্লিনিকি ভত্তি হতিই হইলো। এরপর এই টেস সেই টেস করায়ে গাটির টাকা সব চুয়া। এরমদ্দি ডাক্তার সাহেব যে ওষুদ লিকেচে তা দেইকে চোখ ছ্যানাবড়া। পিসকিপশনের এক পাতায় যেট্টুক জাগা আচে কোনটোয় কলমের আগা মারার জাগা নেই। পুরো পাতার সব জাগায় দামি দামি ওষুদির নাম লিকা। ভাবডা ইরাম, সুমায় থাকলি ওষুদির নাম লিকার জন্যি লুসশিট নিতো! ব্যস্ততার জন্যি এক পাতায় যট্টুক জাগা ছিলো সব জাগায় লিকেচে।
হরকোলি ওষুদির নাম দেইকে মনে হইলো, আন্দাজে গুন্দাজে লিকলিওতো কোনোডা না কোনোডায় কাজতো করবেই। যিনি বড় ডাক্তার হবেন, তিনি ইরাম গাছিক খানিক ওষুদ কেনো লেকপেন? তিনিতো রোগ ধত্তি পাল্লি এট্টা বা দুডো ওষুদ দিলিই কাফি। কিন্তুক তা না কইরে ওষুদ কুম্পানীর কাচেত্তে মুটা টাকা, উপহার বাগায় নিয়ে সেই টাকা উসুল কত্তি দেড়ি ওষুদ লিকে সাধারন লোকের পকেট কাটা হচ্চে।
এর মদ্দি কাল এট্টা খবর শুইনে পরানডা টকশায় গ্যালো। মুড়ি মুড়কির মতো ডাক্তাররা যিরাম এন্টিবায়টিক লোকজনরে খাওয়াচ্চে, কয়দিন পর নায় আর এইসব ওষুদ মানসির কোন কাজে আসপে না। কারন হররোজ এন্টিবায়টিক খাওয়ায়ে ব্যাকটেরিয়ারে স্যায়না কইরে তুলা হচ্চে, গা সওয়া হইয়ে যাওয়ার কারনে তকন এন্টিবায়টিকির পাওয়োর লেস হয়ে যাবে। তকন মানুস বাচপে কি কইরে কও দিনি বাপু !
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮৮৭১০০৩