
রাজশাহী রেড ক্রিসেন্টের বিপুল পরিমাণ মাল কালোবাজার থেকে উদ্ধার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশ। ২১ নভেম্বর দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অভয়নগর উপজেলার নওয়াপড়ার কয়েকটি স্পটে অভিযান চালিয়ে যশোর ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম এ উদ্ধার সাফল্য দেখিয়েছে।
এ সময় ত্রাণের মাল চোরাইভাবে কেনার সাথে জড়িত আজাদ নামে এক ব্যবসায়ী ডিলারকে আটক করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলমান ছিল।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েক মাস আগে রাজশাহী থেকে রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণের কম পক্ষে ১৫শ’ বস্তা চাল ডাল চিনি সুজি লোপাট হয়। বিশাল ওই চালান একটি অসাধু চক্রের মাধ্যমে চলে আসে যশোরে। বসুন্দিয়ার পোল্ট্রি ফিড ডিলার আজাদসহ নওয়াপাড়া কেন্দ্রিক ব্যবসা করা আরো কয়েকজন রেড ক্রিসেন্টের ওই মাল চোরাইভাবে কেনেন। বিশেষ সোর্সের মাধ্যমে তথ্যটি যশোর ডিবিতে আসে। ওই তথ্যে ডিবির অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাসের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম অভিযানে নামে। ২১ নভেম্বর দুপুরে আটক করে আজাদকে। তার নওয়াপাড়ার প্রেমবাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ বস্তা ডাল চিনি ও সুজি উদ্ধার করে। এসময় আজাদ রেড ক্রিসেন্টের মাল কেনার কথা স্বীকার করেন। এছাড়া বিকিকিনি চক্রের কয়েকজনের নাম বলেন। এসময় ডিবির ওই টিম অভয়নগর নওয়াপাড়া প্রেমবাগ এলাকার আরো কয়েকটি ডেরায় অভিযান চালিয়ে আরো কিছু রেড ক্রিসেন্টের মাল উদ্ধার করে।
সূত্র জানায়, ওই চক্রটি প্রায় ১৫শ’ বস্তা ত্রাণের মাল অল্প দামে কিনে গত দু’মাস ব্যবসা করে আসছিল। বিগত দু’মাসে এ মালের সিংহভাগ চক্রটি বিক্রি করে ফেলেছে। আজাদ ছাড়াও ওই চক্রে জড়িতদের আটকে গত রাতে অভিযান চলমান ছিল কয়েকটি এলাকায়। এছাড়া মাল যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছিল। ওই রাতে ডিবি আরো কয়েকটি দোকান শনাক্ত করে।
এ ব্যাপারে গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাস গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন, অবিশ^াস্য হলেও সত্য, রাজশাহী থেকে আসা রেড ক্রিসেন্টের মাল ওগুলো। মিচিংয়ের পরিমাণ ছিল ১৫শ’ বস্তার মত। অভিযানে ৫০ বস্তা উদ্ধার হয়েছে। আরো উদ্ধার ও আটকে অভিযান চলমান রয়েছে। তবে কারা ওই মাল বিক্রি করেছে বা এই জঘন্য কাজে যশোরের আরো কারা জড়িত এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
আজ প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন সোমেন দাস।