
যশোর রেলস্টেশন এলাকায় শ’ শ’ মানুষের সামনে দু’যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ওই এলাকার চিহ্নিত ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে দুটি ধারালো ছোরা উদ্ধার হয়েছে।
২২ নভেম্বর বিকেলে যশোর শহরের শংকরপুরে মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে আলমগীর হোসেন ওরফে বেড়ে আলী (৪০) ও ভগবতী তলার মতিয়ার রহমানের ছেলে আল আমিনকে (২৬) ধাওয়া করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। গুরুতর অবস্থায় তাদের প্রথমে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে একজনকে ঢাকা ও একজনকে খুলনায় রেফার করা হয়।
এদিকে ঘটনায় জড়িত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আটকে ঘটনার দিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যাপক অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় আটক হয়েছে খুলনার খালিশপুর আলমনগর পুড়া মসজিদের পাশের বর্তমানে শংকরপুর গোলপাতা মসজিদের আকবর আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া আজিজুল হাওলাদারের ছেলে আলামিন ও শংকরপুর গাড়োয়ান পট্টি মাদ্রাসার পেছনের আলীর ছেলে আসিফ। হত্যাচেষ্টা ঘটনায় আটক ওই দুজন ছাড়াও শংকরপুর গাড়োয়ানপট্টি মাদ্রাসার পেছনের আলীর ছেলে অমিত, মেহেদী, একই এলাকার ফারুকের ছেলে বিদ্যুৎ ও শাহনাজ হোটেলের পেছনের শাহিনের ছেলে কোরবানসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলায় শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদের মৃত আব্দুল কাদের শেখের ছেলে জাকির হোসেন উল্লেখ করেছেন, তিনি ব্যবসা করেন। ২২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টায় তার ছোট ভাই আলমগীর হোসেন (৪০) ও তার সহযোগী ভগবতীতলা কচুয়ার মশিয়ারের ছেলে আল আমিন (২২) রেলস্টেশন বিসমিল্লাহ সেলুনের সামনে অবস্থান করছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা আলমগীর হোসেন ও আল আমিনের উপর হামলা করে। অমিতের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে আল আমিনের পেটে আঘাত করে। এতে তার নাড়িভুড়ি বের হয়ে যায়। এ সময় আলমগীর হোসেন ঠেকাতে গেলে বিদ্যুৎ হোসেন তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে আলমগীর হোসেনের ঘাড়ে কোপ মেরে গুরুতর জখম করে। সন্ত্রাসীরা আলামিনের পকেটে থাকা নগদ ৮ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। দু’জনের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর জখম অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে দু’জনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।