
বিচারক স্বামীর বিরুদ্ধে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরিন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি ন্যায় বিচার পাওয়ার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করে জানিয়েছেন বিচার কাজে পক্ষপাত হতে পারে। এ ব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
২৩ নভেম্বর দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামী মাসুদ রানা একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। চলতি বছরের ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি মাসুদ রানার সাথে তার বিয়ে হয়। তার স্বামী ঢাকায় প্লট কেনার জন্যে দশ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। এক পর্যায়ে মাসুদ রানাকে পাঁচ লাখ টাকা দেন তার বাবা। কিছুদিন চুপ থাকলেও আরো পাঁচ লাখ টাকার জন্যে তিনি ফের শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। উপায় না পেয়ে তিনি যশোরে তার বাবার বাড়ি ফিরে আসেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর যশোরের আমলী আদালতে (সদর) যৌতুক আইনে মামলা করেন। যার সিআর-১১৪৯/২০২০।
তিনি আরো বলেন, ‘মামলার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর মাসুদ রানা, তার বোন রানী ও বোনাই জিয়াউর রহমানকে সাথে নিয়ে আসেন আপোষের জন্য। তারা এসে ফের আমাকে যৌতুকের দাবিতে মারধর করেন। পরবর্তীতে আমি যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন (নম্বর-৪৫/ দাখিল করি।’
সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ যশোরের ৪৫/২০২০ নম্বর পিটিশন মামলার বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধানে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। তিনি আশংকা করছেন, মাসুদ রানা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ায় সুবিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু বিচার যাতে পেতে পারেন, সে জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডক্টর ইকবাল কবির জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক ডক্টর আমজাদ হোসাইনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।