
সাতক্ষীরায় পরকীয়া প্রেমের কারণে সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী পারভীন আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর স্ত্রীকে কাঁথা দিয়ে ঢেকে বুধবার সকালে ইটভাটায় কাজে যায় স্বামী আব্দুল খালেক। সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী স্বামীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
গৃহবধূ পারভীন আক্তার (২৪) রাজনগর গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে। স্বামী আব্দুল খালেক পার্শ্ববর্তী হাজিপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।
নিহতের ভাই রাজনগর জামাইপাড়ার ইটভাটা শ্রমিক তরিকুল ইসলাম জানান, পারভীন আক্তারের সঙ্গে ভাটা শ্রমিক আব্দুল খালেকের আট বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। পারভীন এখন সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। অভাবের কারণে তিন বছর থেকে খালেক স্ত্রী পারভীনকে নিয়ে রাজনগর জামাইপাড়ায় নদীর চরভরাটি জমিতে বসবাস শুরু করে।
তিনি জানান, সাম্প্রতি খালেক একই এলাকার এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে এক সপ্তাহ ধরে স্বামীর সঙ্গে পারভীনের বিরোধ চলছিল। বুধবার ভোররাতের কোনো এক সময় পারভীনকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী আব্দুল খালেক। এরপর কাঁথা চাপা দিয়ে বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে ভাটপাড়ায় চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের ইটভাটায় কাজ করতে যায়।
রাজনগর জামাইপাড়ার স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে খালেক তার স্ত্রী পারভীনকে মারপিট করে। বুধবার সকালে তাদের মেয়ে ফারজানার কান্না শুনে ঘরের তালা ভেঙে পারভীনকে কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় দেখতে পায় প্রতিবেশীরা। পারভীনের গলায় দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করার মত দাগ দেখা গেছে। পরে গ্রামবাসী ইটভাটা থেকে স্বামী আব্দুল খালেককে ধরে এনে পুলিশে দেয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, স্থানীয়দের দেয়া খবরের পর বেলা ১২টার দিকে পারভীন আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।