
জাতির পিতার ভাস্কর্য অপসারণের দাবি ধৃষ্টতাপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি। পাকিস্তানি চিন্তা চেতনার এ ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে না পারলে দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্থ হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অপসারণের হুমকির প্রতিবাদে যশোরে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশ ও মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা। তারা বাহাত্তরের সংবিধান পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে কট্টরপন্থীদের নিষ্ক্রিয় করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং মেধা ও মনন বিকাশে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা দূরকরণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি জেলা শাখার শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক সুকান্ত দাসের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সংগঠনের যশোর জেলা শাখার সভাপতি হারুন অর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজেদ রহমান বকুল। সংহতি প্রকাশ করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌল্লা, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য হাবিবা শেফা, মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু, সহসভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল,আইডিইবি জেলা সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, শহীদ কর্নেল জামিল সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ গনি খান রিমন, বিবর্তন যশোরের সভাপতি নওরোজ আলম খান চপল, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাজী মাসুদ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের কোষাধ্যক্ষ মৃণাল কান্তি দে, ছাত্রমৈত্রী যশোর জেলা সভাপতি শ্যামল শর্মা, যশোর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি পার্থ সরকার, ইন্টার্ন চিকৎসক পরিষদের সভাপতি ডাক্তার মুশফিক, তীর্যক যশোরের নাট্য সম্পাদক আলমগীর হোসেন বাবু প্রমুখ।