
যশোরে পৃথক দু’টি হামলা, মারপিট ও স্বর্ণালংকার ছিনতাই ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ প্রতিবেশীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী সন্ত্রাসী কর্তৃক বাড়িতে চড়াও হয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে শ্লীলতাহানী ঘটানোর অভিযোগে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে চারজনকে। আসামিরা হচ্ছেন যশোর সদর উপজেলার ললিতাদাহ গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে সিয়াম, মিজানুর রহমানের স্ত্রী রিনি বেগম, আনোয়ার ও ছোট্টকা।
পুলিশ জানিয়েছে, যশোরের হৈবৎপুর ইউনিয়নের উত্তর ললিতাদাহ গ্রামের শফিউল্লাহর ছেলে শহিদ মামলায় উল্লেখ করেছেন আসামিরা কথায় কথায় গালিগালাজ ও মারতে উদ্যত হয়। গত ২৩ নভেম্বর বিকেলে শিশুদের খেলাকে কেন্দ্র করে তারা শহিদের বাড়িতে চড়াও হন। এসময় তারা শহিদের ছোটভাই আব্দুর রহিমের স্ত্রী মনিরা বেগমকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। নিষেধ করলে তার ওপর চড়াও হয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। মনিরা বেগমের জা সালেহা বেগম ঠেকাতে এলে তাকেও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে গলায় থাকা ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
অন্যদিকে, বড় মেঘলা সরদার পাড়ার মৃত হারেজ আলী সরদারের ছেলে শাহাদৎ সরদার মামলায় বলেছেন, জমি নিয়ে গ্রামের মৃত বক্তার আলী সরদারের ছেলে রোকনুজ্জামান, তবিবর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, তবিবর রহমানের ছেলে আসাদ হোসেন, শফিয়ার রহমানের ছেলে মুজাহিদ ও আবু সাঈদের সাথে তাদের বিরোধ আছে। গত ২০ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় শাহাদৎ সরদারের ভাই আলম সরদার (৪৮) বড় মেঘলা গ্রামের তাইজেলের বাড়ির সামনে তাকে ভাষায় গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দিয়ে আক্রমণ করেন। আলম সরদার বাধা দিলে মোশারফ হোসেনের হুকুমে আসামিরা আলম সরদারকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে। রোকনুজ্জামান ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনার সময় শাহাদৎ সরদারের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৮) ঠেকানোর চেষ্টা করলে রোকনুজ্জামান তাকেও কোপ মারেন।