
ইয়াবার চালানসহ আটক যশোরের মনোহরপুরের বিতর্কিত রাফিউল হাসান রোহানের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। নানা কৌশলে স্থানীয় লোকজনকে হয়রানি ও অভিনব স্টাইলে চাঁদাবাজি করতো সে। স্থানীয়রা রোহানের বিরুদ্ধে আরও মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে।
২০ নভেম্বর রাতে যশোর পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই শহিদুল ইসলাম, এ এস আই উজ্জল কবির, এ টি এস আই সমাপ্ত বৈরাগী ইয়াবার চালানসহ আটক করেন ব্যবসায়ী রাফিউল হাসান রোহানকে। এসময় একই এলাকার আমিনুর রহমানের ছেলে তাজ পালিয়ে যায়। ২২ নভেম্বর দৈনিক গ্রামের কাগজে আটকের তথ্য প্রকাশিত হলে রোহানকে ঘিরে এসেছে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির তথ্য।
এলাকাবাসী জানান, চিহ্নিত প্রতারক রোহান ভালো পোশাক পরে প্রতারণায় নামে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ নামে একটি ফেইসবুক আইডি খুলে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি দাবি করছে সে। তার কাছে বিভিন্ন কোম্পানির ১৫ থেকে ২০টি সিম আছে বলেও অভিযোগে জানাগেছে। সে এলাকার পোল্ট্রি শাহিনকে ফাঁদে ফেলে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করেছিল ওসির নাম ভাঙিয়ে। জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলায় ফেলে ইছালীর মাহমুদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পুড়োপাড়ার সবুজের কাছ থেকে সাত হাজার টাকা আদায় করে। তাকে নিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশ হলে সে খারাপ পথে আর পা বাড়াবেনা বলে অঙ্গীকারও করে। কিন্তু, টাকার নেশায় আর ফিরতে পারেনি খারাপ পথ থেকে।
এছাড়াও, রোহানের বিরুদ্ধে এলাকা এবং এলাকার বাইরে অনৈতিক নানা কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আছে। জগমোহনপুরে একটি মেয়েলি ঘটনায় লিপ্ত হলে তুমুল হৈচৈ শুরু হয়। রোহান আটক হলেও তার সহযোগী তাজ এলাকায় ঘুরছে। তাকে আটকের দাবি স্থানীয়দের।