
নড়াইলের তুলারামপুরে ইজিবাইকচালক রোহান হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করেছে যশোর পিবিআই। একদিনের মধ্যে এ রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের নির্দেশে যশোর ইউনিটের ইনচার্জ পুলিশসুপার রেশমা শারমিনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে, নড়াইল সদর উপজেলার কোমরখালী গ্রামের আলিম মোল্লার ছেলে আল মামুন ও মঞ্জুর শেখের ছেলে শাহিন শেখ এবং ভোয়াখালী বিশ্বাসপাড়ার রফিকের ছেলে মাসুদ রানা। উদ্ধার করা হয়েছে নিহত রোহানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ছিনতাই করা ইজিবাইক।
গত ২৫ নভেম্বর নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের বামনহাট পাকা রাস্তার পাশ থেকে আবু রোহান মোল্লা (২০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রোহান উপজেলার ডাঙ্গা সিঙ্গিয়ার চাঁন মিয়া মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় নিহত রোহানের পিতা চাঁনমিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব নেয় যশোর পিবিআই। এরপর ২৬ নভেম্বর রাতে পিবিআই উল্লেখিত তিনজনকে আটক করে।
আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত আবু রোহান মোল্লা পেশায় ইজিবাইকচালক ছিলেন। আল মামুন ও শাহিন শেখসহ তাদের সহযোগীরা ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সক্রিয় চক্র। গত ২৪ নভেম্বর তারা রোহান মোল্লার ইজিবাইকটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওইদিনই সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্তরা পাশের বামনহাট এলাকায় গানের অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়ার কথা বলে রোহান মোল্লার ইজিবাইক ভাড়া করে রওনা হয়। একপর্যায়ে তারা বামনহাট (মাইজপাড়া-গাবতলা) পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছালে আল মামুন ও শাহিন শেখসহ তাদের সহযোগীরা পরিকল্পনা অনুযায়ী ইজিবাইক চালক রোহান মোল্লাকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মৃতদেহ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে মোবাইল ফোন ও ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার রাতেই ছিনতাইকারীরা মাসুদ রানা নামে একজনের কাছে ৮০ হাজার টাকায় ইজিবাইক বিক্রি করে দেয়। মাসুদ রানা জানায়, সে একজন পেশাদার চোরাই পণ্য ক্রেতা। আটককৃতদের নড়াইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরসেদুল আলমের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আটককৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
