
দ্বিতীয় ম্যাচেও দাপুটে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে জেমকন খুলনাকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে তারা। অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় পরাজয়ের স্বাদ পেলেন মাহমুদউল্লাহরা। দিনের অপর ম্যাচে তামিমের ৬১ বলে ৭৭ রানের সুবাদে ৫ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল।
মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোস্তাফিজের বোলিং তোপে মাত্র ৮৬ রানে অলআউট হয় খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের অর্ধশতকে ভর করে সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে ৩৮ বল হাতে রেখেই সহজেই জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।
৮৭ রানের সহজ টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার ভালো সূচনা এনে দেন। লিটনের দৃষ্টি নন্দন ব্যাটিংয়ের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে খুলনার বোলাররা। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৭৩ রান। সৌম্য ২৬ রান করে আউট হন।
এরপর ৪২ বলে অর্ধশতক তুলে নেন লিটন। ১৩.৪ ওভারে ৮৭ রান করে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন লিটন ও মুমিনুল হক। খুলনার একমাত্র উইকেটটি পেয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের নেমে বিধ্বংসী বোলিং শুরু করেন মোস্তাফিজ। তিনি ছাড়াও নাহিদুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম তাদের ঘূর্ণিতে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের দিশেহারা করেন।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন ইমরুল কায়েস। এদিন ওপেন করতে নেমে মাত্র ৩ রানে আউট হন সাকিব আল হাসান। এছাড়া আরিফুল হক ১৫, জহুরুল ইসলাম ১৪ ও শামীম হোসেন ১১ রান করেন। তবে বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
মোস্তাফিজ ৩.৫ ওভারে মাত্র ৫ রানে ৪টি উইকেট দখল করেন। এছাড়া নাহিদুল ও তাইজুল দুটি করে উইকেট পান।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। দলের পক্ষে মেহেদী ৩৪, মাহমুদ ৩১ ও শান্ত ২৪ রান করেন। বল হাতে বরিশালের পক্ষে রাব্বি ৪টি ও মেহেদী নেন ২টি উইকেট।
পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ ওভার শেষে জয়ে লক্ষে পৌঁছে যায় বরিশাল। তামিম সর্বোচ্চ ৭৭ রান করে। এছাড়া ইমন ২৩, হৃদয় ১৭ রান করে। বল হাতে রাজশাহীর পক্ষে মাকিদ ২টি এছাড়া একটি করে উইকেট তুলে নেয় ইবাদত ও মেহেদী।