
আমাগের এলেকার এক ম্যা’ভাই নিজির চোক ছয়রাত ছাড়া কারো কতায় বিশ^াস করে না। একদিন ম্যা’ভাইর ছাবাল এট্টা রঙিন টিবি কিনে নিয়াচে। তকন গিরামে কারো বাড়ি রঙিন টিবি নেই, তাই নিয়ে ম্যা’ভাইর বাড়ি উছোই আনন্দ। লোক নিয়ে ভাইপো গেচে ঝাড়ে বাঁশ কাটতি কেজিবি এন্টিনা ট্যাঙাবে বিলে। এদিকে ম্যা’ভাইর টেনশন কার ফোশ শুইনে ছাবাল রঙিন টিবি কিইনে আইনলো! টিবিডা আসলেই রঙ পাকা কিনা তা পরখ করা হইলো না। যেই ভাবা সেই ম্যা’ভাই ঘরে ঢুইকে কাটুনতে টিবিডা বাইরো করে নিয়ে গেচে পুকোর কান্দায়। যাইয়ে পুকোরির পানিতি সুমানে টিবি চুবোচ্চে। এই কান্ড দেইকে বাড়ির সব লোক হৈ রৈ কইরে ছুইটে আইয়েচে। স¹লি আইসে কচ্চে কইল্লেডা কি! টিবি কেউ কোনদিন পানিতি চুবোয়? ম্যা’ভাই কলে আরে বাপু যে জামেনা পইড়েচে কারো ওপর ভরসা রাকার জো আচে। রঙিন কইয়ে বেইচে দেচে, রঙ কট্টুক পাকা দেকতি হবে না! তাই পানিতি ভিজোয় দেকচিলাম পেত্তম ধুয়ায় রঙ কট্টুক বারোয়! ম্যা’ভাইর কতা শুইনে সবার মুকি মাছি যাওয়ার জুগাড়।
কুটিকালে শুনিলাম, সাদা কালো টিবিতি যা মুলো, রঙিন টিবিতি সিডা গাজর। সাদা কালো আর রঙিন কতাডা আবার হালি কইরে মনে পড়ে গ্যালো। শুনতি পালাম, একশ, টাকায় দশ টাকা ট্যাকশো দিলি নাই কালো টাকা সাদা হচ্চে। মুক্কু সুক্কু মানুস জ্ঞানের বহর খাটো! এই কতা শুইনে মনে করিলাম ছিড়া ফাটা ময়লা কালো নোট বদলায় কচকচে নোট নিতি গিলি মনে হয় শতকরা দশ টাকা ট্যাকশো দিতি হবে। পরে বুজদার মানসির সুমকি এ কতা কইয়েই বিয়াকুপ হওয়ার জুগাড়। তারা হেজেমানে কইরে দেলে, হাতে থাকা লগত টাকা, ব্যাংকে থুয়া টাকা, জুমাজমি, ঘরবাড়ি য্যানে যে যা কইরেচে, যার আয় উসসো বাটি চালোক দিয়েও পাওয়া যায় না, সব জায়েজ হইয়ে যাবে ঐ নিয়মে ট্যাকশো দিলি।
আশাসুকি কতা উসায়ে আমার মুক আমেত্তে আমচুর হইয়ে গ্যালো। এমনিতিই টাকায়ালাগের সদরের চাইতে তলশুড়া কামোই বেশী। তার ওপর ইরাম মাতায় নষ্ট মামা অফার দিয়ে হুলোয় দিলি তো কতায় নেই! এক মুরুব্বী আইগোয় আইসে কলে এই নিয়ে ভাইবে তোর আমার লাভ নেই। কবিতায় পড়িসনি, কালো আর ধলো বাইরি কেবল, ভিতরে তাগের সুমান রাঙা।
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮ ৮৭১০০৩