
যশোরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের ১০ দিন পর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীর মা একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করেছেন। নাম উল্লেখ করা আসামি হচ্ছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের হাবিবের ছেলে হাসানুজ্জামান হৃদয় (২২)।
মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে (১৭) একাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। কলেজে যাওয়া আসার সময় আসামি হৃদয় আমার মেয়েকে উত্যক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দিত। আসামির কথায় রাজি না হওয়ায় অপহরণের পর ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র ও সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে। বিষয়টি মেয়ে তাকে জানালে আসামিকে এ ধরণের কার্যকলাপ করতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু কথায় কোন কর্ণপাত না করে ২২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮ টায় চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে কোচিং করতে যাওয়া মেয়েকে অপহরণ করে। মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন। ২২ নভেম্বর বিকেল আনুমানিক ৩ টা ২০ মিনিটের সময় অপহরণকারী হৃদয় ফোন দিয়ে বলে মেয়ে তার কাছে আছে। এসময় মেয়ে জানায় আসামি হৃদয় সহযোগী আসামিদের সহায়তায় তাকে আটকে রেখেছে। পরে হৃদয় মোবাইল বন্ধ করে দেয়।