
মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় যশোর শহরের বারান্দীপাড়ায় ইউসুফ আলী (২৪) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সংঘবদ্ধরা। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। সে ওই এলাকার পাইপ মিস্ত্রি আব্দুল হামিদের ছেলে। ২ ডিসেম্বর দুপুরে এলাকার শতদল স্কুলের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে মামলা প্রস্তুতি চলছে।
ভুক্তভোগীর বাবা আব্দুল হামিদ গাজী জানিয়েছেন, এলাকার হারুনের ছেলে নান্টু, তার স্ত্রী মিনা, শহিদের ছেলে আল আমিন আরেক আল আমিন, আব্দুল গফ্ফারের ছেলে রুবেল, আব্দুস সাত্তারের ছেলে রানা, সেন্টুর ছেলে হৃদয় ও আব্দুস সাত্তার মাদক ব্যবসা করে পরিবেশ নষ্ট করছে। শতদল স্কুল এলাকায় এরা মাদকের কারবারের অভয়ারণ্য বানিয়ে ফেলেছে। ওই এলাকায় মাদক ব্যবসায় বাধ সাধে ইউসুফ আলী। এ নিয়ে নান্টু, আল আমিন, রুবেল ও হৃদয়ের সাথে গোলযোগ বাধে ইউসুফের। এ ঘটনায় ২ ডিসেম্বর দুপুরে ওই চক্রটি ছুরিকাঘাত করে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে। তার ছেলে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তিনি ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আটক ও শাস্তি দাবি করেছেন। এ ঘটনায় তিনি মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
এছাড়া ওই পরিবারের অপর সদস্য শ্যামলী জানিয়েছেন, আল আমিনের সাথে ইউসুফের বিরোধ চলে আসছিলো। এদিন পৌনে ১ টার দিকে ইউসুফ ব্যক্তিগত কাজে বারন্দীপাড়া বউ বাজারে যান। এ সময় আল আমিনসহ ৭/৮ জনের দুর্বৃত্ত দল তাকে ছুরিকাঘাতে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনায় নেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ডাক্তার মনিরুজ্জামান লর্ড জানিয়েছেন, আহতের শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়ছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রেফার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মূলত মাদক ব্যবসা নিয়ে আল আমিনের সাথে বিরোধ ইউসুফ আলীর। আল আমিন একটি বড় মাদক সিন্ডিকেটের সাথে চলে। আর ইউসুফ চলে অন্য গ্রুপে।
এদিকে থানা সূত্র জানিয়েছে, হত্যাচেষ্টা ঘটনায় একজনকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সে অভিযুক্ত এক জনের ভাই। তবে সে ঘটনাস্থলে ছিলনা বলেও সূত্রের দাবি। তবে তার মাধ্যমে ঘটনায় জড়িতদের অবস্থানের তথ্য মিলতে পারে।