
লিটন ও সৌম্যর ঝড়ো সূচনার পর শেষদিকে মোসাদ্দেক সৈকতের ক্যামিও ইনিংসে চড়েই আসরের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়েছে চট্টগ্রাম। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে তারা স্কোর বোর্ডে ৫ উইকেটে ১৭৬ করে। লিটন খেলেছেন এবারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ৭৮ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই ছিলেন তিনি।
পরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের দলীয় স্কোর গড়ে রাজশাহী। দলের পক্ষে আনিসুল ৫৮, শান্ত ২৫, আশরাফুল ২০, মেহেদী ২৫, ফরহাদ রেজা ১২ ও রনি তালুকদার অপরাজিত ১২ রান করে। এর ফলে এক রানে জয় পায় চট্টগ্রাম।
বল হাতে মোস্তাফিজুর রহমান ৩টি, শরিফুল ইসলাম ২টি এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক ও জিয়াউর রহমান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে আদর্শ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। তিন ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০ রান। এ দুই ওপেনারের তান্ডবে মাত্র ২৬ বলেই দলীয় অর্ধশতক পূরণ করে ফেলে চট্টগ্রাম। দলীয় ৬২ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ের মারে ৩৪ রান করেন সৌম্য। আনিসুল ইমনের করা নিজের প্রথম ও ইনিংসের ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ১১ রানে।
ফরহাদ রেজার করা পরে ওভারে ঠিক একইভাবে বোল্ড হয়ে যান ২ বলে ১ রান করা শামসুর রহমান শুভ। চট্টগ্রামের দলীয় সংগ্রহ তখন ৩ উইকেটে ৯৬ রান। দলের প্রথম ৫০ করতে মাত্র ২৬ বল লাগলেও, দ্বিতীয় পঞ্চাশ করতে তাদের প্রয়োজন হয় ৫২টি বল। ইনিংসের ১৩ ওভার শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ঠিক ১০০ রান। পরের সময়টুকু পুরোপুরি নিজেদের করে নেন লিটন দাস ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এই দুই ব্যাটসম্যান গড়েন ৭২ রানের জুটি।
শেষ পর্যন্ত লিটন অপরাজিত থাকেন ৯ চার ও ১ ছয়ের মারে ৫৩ বলে ৭৮ রান করে। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হওয়ার আগে ২টি করে চার-ছয়ের মারে ২৮ বলে ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক।
রাজশাহীর পক্ষে বল হাতে একাই ৩ উইকেট নেন মুকিদুল মুগ্ধ। এছাড়া ফরহাদ রেজা ও আনিসুল ইমনের ঝুলিতে যায় একটি করে উইকেট।
দিনের অপর ম্যাচে প্রথম জয় পেয়েছে বেক্সিমকো ঢাকা। তাদের ক্ষুরধার বোলিংয়ে মাত্র ১০৮ রানেই থেমে যায় বরিশালের ইনিংস। জবাবে ঢাকার ম্যাচ জিততে খেলতে হয়েছে ১৮.৫ ওভার। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি রাব্বির ৩০ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে ঢাকা।