
জাড়ের সুমায় আসলি গিরাম গঞ্জের রাস্তাঘাট আগে থাইকতো পড়ুটে টিরাকের দকলে। সারা বচর জিড়োয় নিয়ে শুদু মাটি টানার জন্যি এই সব টিরাক চলে পতে ঘাটে। এই সব টিরাকের বেরেক আচে বিলে মনে হয় না। বেরেকের সাথে মাটি টানা টিরাকের ডালির ছিটকিনিও থাকে না। মাটি কাটা লিবাররা ডালির দড়ি ধইরে বসে থাকে। জাগা মতো যাইয়ে গাড়ির স্টাট বন্দ হওয়ার আগেই ডালি খুলা সারা। এই টিরাকের সাতে যোগ হইলো টলি। আর একন গিরাম আর শহরের রাস্তাঘাট গুজরায় বেড়াচ্চে টিরাকটার।
অবাক কান্ড! সবার সুমকি দিয়ে মাটি নিয়ে গড়গড় কইরে এই সব টিরাকটার পথ দাবড়ায় বেড়ালিও এ নিয়ে কারো কোন উইচাই নেই। এই নিয়ে দু’কতা পাড়তি এক ভাইপো কলে, চাচা কলি খুন, না কলি গুন। মাড়ি আইটে চুপচাপ থাকো। জাড় পইড়েচে, চিটি মিটি লিকলি রস গুড় পিটিমাটা নিয়ে লেকো, তা না হলি চিটি লিকার রস মাটো কইরে দেবেনে। শুনে কলাম কচ্চিস কি, সত্যি কতাও কওয়া যাবে না। সুমাজডা যে উচ্চুন্নে চইলে যাচ্চে। ভাইপো কলে, যারা এ সব দেকপে তারাই তো কাঠি দেচ্চে। আমি কলাম কচ্চিস কি! কিডা কারে কাঠি দেচ্চে রে? ভাইপো কলে এলেকার চাষের জমি কাইটে চুয়া কইরে মাটি কারা নেচ্চে? এই সব যারা কচ্চে তারা সব দলদারী করা লোক। তাগের বিশ্বঘাতি পাওয়োর। একদল আচে তারা গত্তগাড়ার মাটি ভরার টিন্ডার পায়। আরাক দল আচে খুজাড়ে, তারা গিরামে কার জমিত্তে ছালে ছুতোয় মাটি টাইনে নেবে তার বুজ করে। কারো বুজোয় তুমার জমি উইচো এতি ডিপটি কলের পানি দাড়ায় না। এট্টু ছ্যাও না কল্লি ভালো আবাদ পাবা না। রাজি থাকো তে কও আমরাই বিনি পয়সায় কাইটে ছ্যাও কইরে লেবেল কইরে দিচ্চি। পোকপাক দিয়ে এক কুদাল কাটার কতা কইয়ে ভুই দেয় হকসায়ে। তারপর যাইয়ে ধরে পাশের জমিয়ালারে, তারেও ইরাম টোপ দিয়ে পটায় ফেলে। যারা এট্টু স্যায়না এগের কতায় রাজি হতি চায় না তাগের জন্যি আচে দলদারির চাপ। সেই চাপে যারা পড়িনি তারা এর জালা টের পাবেনা, যারা পড়ে তাগের গিরামে টিকাই দুস্কর। চাপচোপ দিয়া দলের পর আরাক দল আচে, তাগের কাজ হচ্চে কাঠি দিয়া। কয় টিপ গ্যালো সিডা গুনার জন্যি কাঠি দেয়। কাঠি গুইনে বেলাশেষে চুক্তিমত টাকা ছ্যাপ দিয়ে গুইনে নেয়। আর এগের সবার উপর থাকে ম্যা’ভাইরা, যাগের ধরা যায়না ছুয়া যায়না। কিন্তুক তারা জালানো দুধির সর খাইয়ে নেয় চাপনিতি।
শুইনে মেলে কলাম কচ্চিস কি! ইরাম কইরে চাষের ভুই’র মাটি কাটলি তাতে আর আবাদ ফসল হবে?
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮৮৭১০০৩