
দেশপ্রেম ও মানবসেবার আহ্বানে পূর্তির নয় বছর উদযাপন করল পুনশ্চ যশোর। শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক সংগ্রামে সদা সর্বদা সংগঠনটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে কর্মীদের মধ্যে এ প্রত্যয় ছিল। পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রগতিশীল জাতি গঠনের লক্ষ্যে সাংগঠনিক তৎপরতা আরও বেগবান করার শপথ নেয়া হয়।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনের পর্দা নামায় পুনশ্চ। শুরু থেকে শেষ অবধি সকল আয়োজনই ছিল চমকপ্রদ। সন্ধ্যা ছয়টা এক মিনিটে সংগঠন সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এবারের আয়োজনের বিশেষত্ব ছিল করোনা যোদ্ধা সংস্কৃতিজনদের সম্মাননা। করোনা মহামারিতে মানবতার ডাকে যশোরের সকল সাংস্কৃতিক কর্মী মাঠে ছিলেন। সেই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে যশোরের ১৩ টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সম্মানিত করা হয়। সম্মাননা দেয়া হয় সুরধুনীর সভাপতি হারুন অর রশীদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, তীর্যকের সাধারণ সম্পাদক দীপংকর দাস রতন, চাঁদের হাটের সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল,সুরবিতানের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বাসুদেব বিশ্বাস, রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি শ্রাবণী সুর, শেকড়ের সাধারণ সম্পাদক রওশন আরা রাসু, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব, স্পন্দনের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সপ্তসুরের পরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং নৃত্যবিতানের পরিচালক সঞ্জীব চক্রবর্তীকে।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানসহ জেলার বিভিন্ন অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে স্মারক তুলে দেন। অতিথি হিসেবে স্মারক সম্মাননা প্রদান করেন প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল হক, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, মহিলা পরিষদ নেত্রী হাবিবা শেফা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব কবীর, সুরকার ও গীতিকার আশরাফ হোসেন, গ্রামের কাগজ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী মোয়াজ্জেম হোসেন মঞ্জু এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আফজাল হোসেন দোদুল।
কে কী চায় তার তোয়াক্কা না করে সমাজে প্রায় সকলেই নিজের মতামত ব্যক্ত করতে ব্যস্ত এমনই বার্তা নিয়ে মঞ্চস্থ হয় নাটিকা। সুকুমার রায়ের ‘অবাক জল পান’ নাটিকাতে অভিনয় করেন অভিজিৎ পাল, অন্তু বিশ্বাস, অঞ্জন হালদার, স্বপ্ন দাস, নিলয় হালদার ও সঞ্জয় চক্রবর্তী। আলোক প্রক্ষেপন, মঞ্চ সজ্জা ও রূপ বিন্যাস করেন জয় বিশ্বাস ও অর্ঘ্য দাস।

করোনাসহ সমাজের সকল আধার কুসংস্কার দূর করে আলোকময় পৃথিবী গড়ে তোলার শুভ প্রত্যয়ে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।