
বিশ্বজুড়ে মহামারী সৃষ্টি করা করোনাভাইরাসে ইরানে মৃত্যু ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে এক দিনে আরও ৩২১ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শনিবার মৃত্যুর সংখ্যা দুঃখজনক এই মাইলফলকটি পার হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিমা সাদাত লারি রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে ১২ হাজার ১৮১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ২৮ হাজার ৯৮৬ জন এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ হাজার ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে পর্যদুস্ত ইরানকে এখন সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে। তবে দুই সপ্তাহের আংশিক লকডাউনের পর সংক্রমণের হার কমছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে ভর্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে দেশটির কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকাকে রংয়ের ভিত্তিতে আলাদা করেছেন। যেসব শহর ও এলাকা তুলনামূলক নিরাপদ সেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘সাদা’ রংয়ে আর যেসব শহরে সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি সেগুলোকে দেওয়া হয়েছে ‘লাল’ রং। ইরানের ৩২টি প্রদেশের রাজধানীর মথ্যে ২৫টিই এ ‘লাল’ চিহ্নিত এলাকার মধ্যে পড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল আল জাজিরা। ২১ নভেম্বর থেকে এসব শহরগুলোতে দুই সপ্তাহের আংশিক লডাউন জারি করা হয়েছে।
তেহরান টলমল ভাবে ‘রেড বর্ডারের’ দিকে এগিযে যাচ্ছে এবং এক কী দুই সপ্তাহের মধ্যে উচ্চ ঝুঁকির স্তরে ফিরে যেতে পারে বলে সতর্ক করে এ পরিণতি এড়াতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইরান কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। আসুন আমাদের দেশে অনুরূপ পরিস্থিতি হওয়ার আগে মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি।