
যশোর শহরের খড়কি পীরবাড়ি এলাকার রফিক শেখের বসতবাড়ি ও চায়ের দোকানে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে। এসময় বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ও দোকানের মালামাল ভাংচুর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। রাতেই পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রামের কাগজকে জানানো হয়, সন্ত্রাসীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
চা দোকানি রফিক শেখ বলেন, শনিবার সকালে মাদকাসক্ত এক যুবক তার দোকানে পান কিনতে আসে। তখন পান না থাকায় তিনি দিতে পারেননি। এ নিয়ে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তার জের ধরে সন্ধ্যার পর রেলগেট পশ্চিমপাড়ার বাবুর ছেলে রকি, ময়েন মোল্লার ছেলে শাহীন, আবুলের দু’ ছেলে মানিক ও রতন, নজিবের ছেলে পলাশ, ভাংড়ি মতির ছেলে মামুন, রফিকের ছেলে পান্নাসহ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তার দোকানে এসে অতর্কিত ভাংচুর শুরু করে। এরপর পাশেই তার বাড়িতে হামলা চালায় তারা। এ সময় আসবাবপত্র ভাংচুর ও ঘরে থাকা নগদ টাকা হাতিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। এসময় স্ত্রী হাসিনা বাধা দিলে তার শ্লীলতাহানি ঘটায়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে।
এ বিষয়ে কসবা ফাঁড়ির এএসআই আইনাল হক ও এটিএসআই সমাপ্ত বৈরাগী ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্তরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় তাদের নামে একাধিক মামলাও রয়েছে। তারা এ চক্রকে আটকের দাবি জানায়।
তবে, স্থানীয় অপর একটি সূত্র জানায়, সন্ত্রাসীদের সাথে চা দোকানি রফিকের ছেলে সাব্বিরের এক যোগাযোগ ছিল। পরে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরই মধ্যে একটি মামলার আসামি হওয়ায় সাব্বির এলাকা ছাড়ে। তারই জের ধরে এ হামলা ঘটতে পারে বলে সূত্রটি দাবি করে।