
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন কিনতে ৬’শ কোটি টাকা ছাড়ের পর দেশের মানুষকে সেই ভ্যাকসিন প্রয়োগে কাজ শুরু করেছে সরকার। এ জন্য নানান পরিকল্পনার পাশাপাশি তার বাস্তবায়ন ও তদারকিতে গঠিন করা হয়েছে কমিটি। মূলত এই কমিটির নেতৃত্বেই চলবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ।
এই আয়োজনে তৈরি করা হচ্ছে প্রায় ১ লাখ কর্মী। যাদের মধ্যে ভ্যাকসিন দেয়ার কাজে সরাসরি মাঠে থাকবেন অন্তত ৭২ হাজার কর্মী। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেবেন তারা।
ওই কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, কয়েক ধাপে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। প্রথম ধাপে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ২০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। যার মধ্যে আবার ১০ শতাংশকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৩ শতাংশ ধরে ৫১ লাখ ৮৪ হাজার ২৮২ জন। আর বাকী ৭ শতাংশ, ১ কোটি ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৭ জনকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে।
সরকারের এসব পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির খবরে আমরা আশা প্রকাশ করতেই পারি- যথাসময়ে ভ্যাকসিন পাওয়া এবং তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা তৈরি হবে না। কেননা এর জন্য প্রতিটি ধাপেই পরিকল্পনা এবং তার সঠিক বাস্তবায়ন জরুরি। তা না হলে পুরো পরিস্থিতিই জটিল হয়ে উঠতে পারে।
আমরা মনে করি, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের মতো একটা স্পর্শকাতর বিষয়ের প্রতিটি ধাপেই অধিক সতর্কতা জরুরি। একটু ভুল বা অবহেলায় ঘটে যেতে পারে অনেক কিছু।