
যশোরে ঋণের কিস্তির টাকা আনতে গিয়ে ঋণ গ্রহিতা ও তার সহযোগীদের হামলায় আব্দুস সালাম (৩০) নামে এক এনজিও কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে আটক রাখার এক পর্যায়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে। এসময় দুই জনকে আটক করেছে।
এরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার ছোট শেখহাটি শ^শুর আব্দুল গফফার মোল্লার জামাতা বালাম শেখের ছেলে রাজু আহম্মেদ ও একই এলাকার আলাউদ্দিন বাবুর ছেলে রাকিব। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গজালিয়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে ঢাকা আহছানিয়া মিশন (ডিএফইডি) যশোর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আব্দুস সালাম মামলায় উল্লেখ করেছেন, সংস্থার বিভিন্ন শর্তে সদর উপজেলার ছোট শেখহাটি গ্রামের আব্দুল গফফার মোল্লার মেয়ে নাসরিন ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ৪০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহন করেন। এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করার শর্তে ঋণ নেওয়ার পর থেকে নাসরিন কিস্তির টাকা পরিশোধ না করে নানাভাবে তালবাহনা করতে থাকেন। কিস্তির টাকার জন্য ৭ জানুয়ারি আব্দুস সালাম নাসরিনের বাড়িতে যান। যাওয়ার সাথে সাথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নাসরিনসহ তার স্বামী রাজু আহম্মেদ, আলাউদ্দিন বাবুর ছেলে রাকিব, নাসরিনের বাবা আব্দুল গফফার, রুবেল, তরিকুলসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন এনজিও কর্মকর্তা আব্দুস সালামকে মারপিটের এক পর্যায়ে নাসরিনের ঘরে আটক করে। নাসরিন নারী নির্যাতন মামলা দেয়ার হুমকি দেয়ার এক পর্যায়ে টাকা দেবে না বলে হুংকার দেয়। আব্দুল গফফার মোল্লা আব্দুস সালামের পকেটে থাকা নগদ ৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আহত অবস্থায় আব্দুস সালাম বিষয়টি তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এরিয়া ম্যানেজার আসলাম উদ্দিনকে জানালে তিনি পুলিশের মাধ্যমে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করেন। এসময় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়।
তবে নাসরিন ও তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ওই সালাম তাদের সাথে অশালীন আচরণ করেন, যা অসভ্যতার শামিল। একজন নারীর সাথে কি আচরণ করতে হয় তা শেখেনি ওই সালাম। যে কারণে তার উপর স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়।