প্রকাশ: শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২, ৬:২৩ পিএম আপডেট: ২২.১০.২০২২ ৭:৫৯ পিএম |

২৩ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে ইতালি পুলিশ। আটক যুবকের বিরুদ্ধে এক নারী পুলিশকে ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। আহত ওই নারী পুলিশ স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে নিজ বাসায় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এদিকে, আটক ওই বাংলাদেশির নাম-পরিচয় নিরাপত্তার জন্য প্রকাশ করেনি স্থানীয় প্রশাসন।
এ ঘটনাটি নিয়ে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করছে ইতালির সব গণমাধ্যম। এরপর বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির নতুন মন্ত্রীপরিষদ। সমালোচনার মুখে পড়েছে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
নাপোলি থানায় কর্মরত অল্পবয়সী এক নারী পুলিশ ২০ অক্টোবরৱ (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাতে ডিউটি শেষ করে নাপোলি বন্দরের পিসাকানে গেট পার্কিংয়ে গাড়ি আনতে যাচ্ছিলেন । ওই সময় আগে থেকে অনুসরণ করা এক বাংলাদেশি পেছন থেকে হঠাৎ ওই নারী পুলিশের মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করেন। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে (নারী পুলিশ) ধর্ষণ করে ওই বাংলাদেশি এবং পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা চালায়।
ওই নারী পুলিশের কাছে অফিশিয়াল বন্দুক থাকলেও কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাথায় আঘাত করায় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি তিনি। তবে ঘটনার সময় সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা বিশেষ ডিভাইস দিয়ে থানায় সংকেত পাঠালে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশের বেশকয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ওই বাংলাদেশি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে পুলিশ তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যেই নাপোলি ডুয়োমো এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত এবং আটক হওয়া ওই বাংলাদেশি ইতালিতে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। এছাড়াও নাপোলির মেয়র গেতানো মানফ্রেদি স্থানীয় কাউন্সিলরকে ফোন করে বিষয়টি সম্পর্কে জানান। পরে শহরে নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও এ ঘটনার পর দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান উপ-প্রধানমন্ত্রী মাত্ত্বেও সালভিনি ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এটি আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। প্রতিবেদন হাতে পেলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।