প্রকাশ: বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২, ১২:১৫ এএম |

দেশের জীববৈচিত্র রক্ষায় সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের গাছ কাটার ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (২০২৩ -২০৫০) এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। গাছ কাটা বন্ধের বিধিনিষেধ অনুমোদন দেয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমাদের প্রশ্ন, গাছ চুরি বন্ধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে?
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ কাটা যাবে না। কাটা যাবে সোশ্যাল ফরেস্ট যেগুলো, সেগুলো এর মধ্যে থাকবে না। সোশ্যাল ফরেস্ট হলো যেমন কারো ব্যক্তিগত, রাস্তার পাশ দিয়ে যে বনায়ন বা ডিপফরেস্টের আগে একটা বাফার জোন থাকে। সেখানে স্থানীয় জনগণের সাথে যৌথভাব বনায়ন হয়। তিনি বলেন, শেরপুরে আমি দেখেছি, এই বাফার জোনে আকাশিয়া গাছ বোনা হয়। কারণ এ গাছগুলো ১৫ বছর হলে কাটার উপযুক্ত হয়ে যায়। তাই ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এই গাছ কাটতে হয়। এতে যে সকল মানুষ এই গাছগুলো পরিচর্যা করে তারা ৭০ শতাংশ পায় আর ৩০ শতাংশ পায় বনবিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ কোনো অবস্থাতেই ২০৩০ সালের আগে কাটা যাবে না। যদি কেউ কাটে তাহলে বন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা একটা সার্কুলার টাইপের। এটা হলে গেজেট নোটিফিকেশন হবে। সেখানে বন আইনে যে শাস্তি আছে সে অনুযায়ী হবে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা হলো একটা শিফট টাইম। ৫ বছর বা ৭ বছর হয়ে থাকে। এবার ৫ বছর না করে ৮ বছরের জন্য চলে আসছে। যদিও বর্তমানে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। তাই ২০২৩ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।
আমরা এই বিধি নিষেধের পক্ষে। কিন্তু বনবিভাগের যেসব অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী গাছ চুরির সাথে জড়িত, যারা সুন্দরবনের চতুর্দিকে গাছ সাজিয়ে রেখে ভেতরে ফাঁকা করে দিচ্ছে, তারা সচেতন হবে কবে? তারা দেশ প্রেমিক হবে কবে? তারা এই বিধি নিষেধে কতোটা শুধরাবেন সেটাই প্রশ্ন। তারা ভালো না হলে এ ধরনের বিধিনিষেধ কতোটা স্বার্থকতা পাবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।