প্রকাশ: বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২, ৯:১৫ পিএম |

কুটিকালে ছেলেপিলে পড়তি পড়তি ঘোম পইড়তো। খাতি খাতি ঘোম পইড়তো। আরো কতো কি কত্তি যাইেেয় যে ঘোম পইড়তো তার ঠিক নেই। যত বয়েস বাড়ে তত নাই ঘোম কমে। কেন তা ঠিক কতি পারবো না। শুনিচি মানসির মতো ঘোমও দিন দিন স্বাত্তপর হইয়ে যাচ্চে। লাখ টাকা দিয়ে খাট কিনা যায় কিন্তুক লাখ টাকা দিয়ে ঘোম কিনা যায় না।
কুটিকালে এট্টা গল্প শুনিলাম। এক রাজার হাড় মড়মড়ে ব্যারাম হইলো। কোন ডাক্তার কোবরেজে তার সেই ব্যারাম সারাতি পাত্তিলো না। পরে এক সাধু টাইপির লোক কইলো তার এই ব্যারাম সারবে যদি তারে সুখী মানসির জামা পরানো যায়। সারাদেশ তলাশ কইরে কোন সুখী লোক পাওয়া যাচ্চিল না। অবলাস্টে এক গিরামে সুখী মানসির খোজ পাওয়া গেলো। সিপাই সামন্ত সব যাইয়ে তারে যাইয়ে কলে যত টাকা লাগুক তার এট্টা জামা দিতি হবে। সেই লোক এই কতা শুইনে হাইসে কুটি কুটি। রাজার লোক তার হাসি দেইকে বুগদা মাইরে গ্যালো। কলে ম্যা’ভাই এট্টা জামা চাচ্চি লগদ টাকায় কিনে নেব, এর মদ্দি নিকচোনোর কি হইলো। বিটাডা তাই শুইনে কলে আরে বাপু জামা যে তুমরা কিনবা আমার থাকলি তো। পরে জানাজানি হইলো যে বিটা দেশের এক মাত্তর সুখী লোক তার কোন জামাই নেই।
পিরায় মুরুব্বীগের মুকি শুনি সুখী হওয়ার জন্যি ম্যালা কিচুর দরকার হয় না। সুখ আসলে জিনুস পত্তরে থাকে না। সুখ থাকে মানসির মনে। ঠিক সিরাম হইয়েচে ঘোমের দশা। মানসির একন হ্যাতো জিনুস পত্তর, খাট পালং, বালিশ তোষক, লেপ খ্যাতা ফ্যান এসি কত কি আসবাস পত্তর তারপরও লোকের চোকিত্তে ঘোম উইটে যাচ্চে। এপাশ ওপাশ কইরে কতজনের রাইত পার হইয়ে যায সিডার খোজ অনেকেই রাকে না। এক মুরুব্বীর সাতে এই নিয়ে কতা উসাইলাম। তিনি কলেন, ঢাকাত্তে সম্পোচার যদি বন্দ হইয়ে যায় তালি টিবির নাট বল্টু মুড়ায়ে কোন ফয়দা আছে। আমি হা কইরে রইচি দেইকে কলে, জানি বুজদি পারিস নি। শোন ঘোম চোকি আসলিও আসলে তা আসে মনেত্তে। মনে যদি সুখ না থাকে তালি চোকি ঘুম কনতে আসপে।
তার কতা শুইনে আকাটা মাইরে গেলাম। যকন হ্যাতো কিচু ছিলো না নুন দিয়ে ফ্যান গুলা খাইয়ে চরাটে নাক ডাইকে ঘোম দিচি আর একন ভালো মন্দ খাইয়েও ঘোম আসতি চায় না, তালি কি পরানতে সুখ উইটে গ্যালো!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮৮৭১০০৩