প্রকাশ: শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২, ১২:১৯ এএম |

সেদিন এক রিকেশ কলে গিচি কাছের এক ম্যা’ভাইর বাড়ি। বাড়ি ঢুকতিই বিয়াকুপ হওয়ার জুগাড়। যাইয়ে দেকি ভাই আর ভাবী সুমানে চুপা বাইড়োয় যাচ্চে। এক্কেবারে কুকড়ো ছিড়াছিড়া কাইজে যারে কয়। আমি না জান্তি ঢুইকেই থাড় আম্পায়ের দায়িত্ব পাইয়ে গেলাম। কি সিদ্ধান্ত দেব সিডার জন্যিও যে রিভু নেব তারও জো নেই। আমি বহুত কষ্টে দুজনরে থামানোর চিস্টা দিলাম। দুইজনেই নাছোড়বান্দা। আমি বহুত কষ্ট কইরে তাগের বসায়ে এট্টু কাইজের ক্ষ্যান্ত দিয়ালাম।
সুংসারের বয়স যাইগের চল্লিশ পার হতি গ্যালো অপর বেলায় আইসে ইরাম কাইজে কি মানায়? কতাডা কতিই ভাবী গলা বাড়ায় কলে এই কতাডা ওরে এট্টু বুজোয় কওদিনি। ভাবীর গলা চড়া দেইকে ম্যা’ভাই আরেট্টু চড়া কইরে কলে এই বয়সেও যে ভিমরতি ধরে তারে ঠেকাবা কি কইরে। আবার সুর সপ্তমে চড়তি দেইকে দুজনরেই থামায় দিলাম। পরে ঘটনা যা জানলাম তাতে আমি নিজিই থ’মাইরে গেলাম!
ভাবী হাউস কইরে আল্লাদে গদগদ হইয়ে ম্যা’ভাইরে কইলো, তুমি তো রূপ গুনির কদর কত্তি জানো না। কাইল তুমার এক বন্ধু আইলো তুমারে তলাশ কত্তি। আইসে কলে ভাবী এই বয়সেও আপনি হ্যাতো সুন্দর। রূপির রহস্যডা কি কনদিন। তাই শুইনে ম্যা’ভাই গজগজ কত্তি কত্তি কইলো কাল মন্টু আমার বাড়ি কিয়েত্তি আইলো? শুইনে ভাবী কচ্চে, ওম্মা আমি তো তুমার বন্ধুর নামই কয়নি, তুমি কি কইরে বুইজে ফেইল্লে মন্টু ভাই আইলো। ম্যা’ভাই গ্যাঙায় উইটে কলে, ও হারামজাদাতো ভাঙড়ির ব্যবসা করে। এই পড়ন্তি বেলায় যে তুমার রূপির পোশংসা কচ্চে সিডা মন্টু ছাড়া আর কিডা হবে। ভাঙড়ি মালের কদর ও ছাড়া আর কার কাছে আছে। ব্যস এ কতা শুইনেই ভাবী আগুন মূর্তি। সেই গ্যাঞ্জাম চলতি চলতি আামর পন্তিক আইসে ঠেইকেচে। ইবার তো পড়বি পড় মালির ঘাড়ের মতো অবস্তা আমার। নালিশ দেচে দুজনই। একন শালিস কইরে রায় দিলিই বিপদ, কার পক্কে যায় না যায়।
ইরাম সুমায় বাড়িত্তে হটাস বউ’র মুবাল কল আইয়েচে, সিডা কানে ধইরে গুড়ি মাইরে সাইট কাটলাম। বউ কলে কনে আছো? তারে যেই কইছি আর কইয়ো না আছি ভাঙ্গড়ি নিয়ে। ও পাশতে রাইগে আগুন গলায় কলে বাড়ি আগে আইসো, কইয়ে লাইন ঝনাত খচাত দেলে কাইটে। বুজলাম সংসারে ইরাম আগুন ছড়ায় পড়চে সবখানে।