এম. আইউব
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২২, ১২:৪৪ এএম আপডেট: ১৮.১১.২০২২ ১২:৫৫ এএম |

প্রথমবারের মতো যশোরে অনুষ্ঠিত কোনো জনসভায় থাকছে না নেতাদের ছবি সংবলিত ব্যানার। একইসাথে তুলে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের তোরণ। ইতিপূর্বে যা কখনো হয়নি। আগামী ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। শহরের আরবপুর থেকে দড়াটানা এবং ঈদগাহ মোড় পর্যন্ত ৪৮ টি তোরণের মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৮ টি অপসারণ করা হয়েছে। বাকি ১০ টি আজকের মধ্যে অপসারণ করা হবে বলে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় টাঙানো অধিকাংশ ব্যানার খুলে ফেলা হয়েছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে তোরণ নির্মাণ আর ব্যানার টাঙানোর প্রতিযোগিতা নেই। ফলে, বন্ধ হয়েছে সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনসহ সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সামনে রেখে বদলে যাচ্ছে যশোর শহর। ইতিমধ্যে নতুন রূপে সাজতে শুরু করেছে। চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে রাস্তা মেরামতের কাজ। চলছে বিভিন্ন সড়কের দু’পাশের দেওয়ালে চুনকাম। বাঁশ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে খোলা ড্রেন। মেরামত করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার রোড লাইট। সরানো হচ্ছে বিদ্যুতের ঝুঁকিপূর্ণ তার।
বিমানবন্দর থেকে জনসভাস্থলে যাওয়ার রাস্তা মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে করা হয়েছে কার্পেটিং। অনেক জায়গায় পুটিং দেওয়া হয়েছে। আরবপুর মোড়, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, পৌরসভায় হয়ে স্টেডিয়ামে যাওয়ার সড়ক এখন আর আগের মতো নেই। নির্বিঘ্নে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
দৃষ্টিনন্দন করতে বিভিন্ন দেওয়ালে নতুন করে প্লাস্টার করা হচ্ছে। করা হচ্ছে চুনকামও। শিল্পকলা একাডেমির সামনের খোলা ড্রেন ঢেকে দেওয়া হচ্ছে বাঁশ দিয়ে। স্টেডিয়ামের চারপাশ নানাভাবে সাজানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যশোর শহরে নির্মিত ৩৮ টি তোরণ খুলে ফেলেছে পৌরসভা। যেগুলো বাকি আছে সেগুলো আজ শুক্রবারের মধ্যে খোলা হবে বলে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানিয়েছেন। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, শহরের মধ্যে রাস্তা মেরামতের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চুনকামের কাজ শেষ করতে কয়েকদিন লাগবে। সবমিলিয়ে দৃষ্টিনন্দন হতে যাচ্ছে যশোর শহর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যশোর আগমন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা বিমানবন্দর সড়কসহ অন্যান্য সড়কে তোরণ নির্মাণ করেন। আরবপুর থেকে দড়াটানা হয়ে ঈদগাহ মোড় পর্যন্ত ৪৮ টি তোরণ নির্মাণ করা হয়। বিমানবন্দর সড়কে এতো ঘন ঘন তোরণ নির্মাণ করা হয় যা প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরের জন্য ঝুঁকি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন কর্মকর্তারা। এ কারণে গাড়িবহর যাতে নির্বিঘ্নে জনসভাস্থলে পৌঁছাতে পারে সেই জন্য বিমানবন্দর থেকে আসার রাস্তায় কোনো তোরণ না রাখার সিদ্ধান্ত হয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌরকর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার থেকে তোরণ অপসারণ শুরু করেছে। এদিন ৯০ শতাংশ তোরণ অপসারণ করা হয়েছে বলে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আরবপুর থেকে দড়াটানা, ঈদগাহ মোড় এবং মুজিব সড়কে ১০ টি তোরণ দেখা যায়। যা আজ শুক্রবার অপসারণ করা হবে বলে পৌরসভার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।