এম. আইউব :
প্রকাশ: শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:২৪ এএম |

কমিটি গঠন নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি। কয়েকজন আহতও হন। এ ঘটনায় মামলা হয়। মামলায় আসামি করা হয় ১৩ জনকে। এই অবস্থায় ‘সুষ্ঠ’ নির্বাচন দেখিয়েছেন প্রধান শিক্ষক জামিরুল ইসলাম তোতা। কেবল নির্বাচন দেখাননি, রীতিমতো বোর্ডে ভুয়া কমিটিও জমা দিয়ে অনুমোদন করিয়ে নিয়েছেন। ঘটনাটি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিআরএকেএস স্কুলের।
বিষয়টি বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক সিরাজুল ইসলামের নজরে আসলে তিনি তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছেন। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে। ২৯ নভেম্বর এ সংক্রান্ত পত্র জারি করা হয়েছে। তার স্মারক নম্বর বিঅ-৬/৬৯২৩/৩৭.১১.৪০৪১.৫০১.০১.৬.২০.১৩০৮৯।
গত ২৭ অক্টোবর মহেশপুরের বিআরএকেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের তারিখ নির্ধারিত ছিল। ওইদিন বিধি বহির্ভূতভাবে গোপনে কমিটি গঠন করতে গেলে একপক্ষ বাধা দেয়। এ নিয়ে দু’ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় চঞ্চল হোসেন নামে একব্যক্তি বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে মহেশপুর থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ৪৭, তারিখ ২৯.১০.২২।
সংঘর্ষের পর কমিটি গঠন ভন্ডুল হলেও ধূর্ত প্রধান শিক্ষক জামিরুল ইসলাম ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে বিধিবহির্ভূতভাবে কমিটি করে শিক্ষাবোর্ডে জমা দিয়ে অনুমোদন করে নিয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই স্কুলের সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দীন গত ২২ নভেম্বর শিক্ষাবোর্ডে কমিটি বাতিলের আবেদন করেন। একইসাথে তিনি নতুন করে কমিটি গঠনের আদেশ চান। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৯ নভেম্বর বিদ্যালয় পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম ঘটনাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দিতে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পত্র দিয়েছেন।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর এ ঘটনায় মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়।
অভিযোগকারী জালাল উদ্দীন বলেন, কমিটি গঠন নিয়ে যেদিন তুমুল মারামারি হলো। কয়েকজন আহত হলেন। থানায় মামলা হলো। সেইদিন কী করে কমিটি গঠন হয়। প্রধান শিক্ষক সম্পূর্ণ জালিয়াতি করে শিক্ষাবোর্ডে কমিটি জমা দিয়ে অনুমোদন করে নিয়েছেন। যা তদন্ত করলে প্রমাণিত হবে। সরেজমিন তদন্তে গিয়ে স্কুলের আশপাশের লোকজনের কাছে জানলে ২৭ অক্টোবর কী হয়েছিল তারা তা অকপটে বলবেন।
প্রধান শিক্ষক জামিলুর ইসলামের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীনেশ চন্দ্র পাল শুক্রবার রাতে ফোনে গ্রামের কাগজকে বলেন, ‘কমিটি গঠনে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে শিক্ষাবোর্ড তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’