প্রকাশ: রোববার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:৩৪ পিএম |

আজ কয়দিন ধইরে যে সব্বোরাশা জাড় পইড়তেচে তাতে পাটায় পড়ার জুগাড়। মরার ওপর খাড়ার ঘা হইয়ে আইসতেচে কুয়ো আর তার সাতে যকন ফুক্কো মাত্তেচে তকন আর থিয়ে থাকা দুস্কর হইয়ে যাচ্চে। কেউ কচ্চে রোইদ উইটলি জাড় কুইমে যাবে আবার কেউ কচ্চে রোইদ উইটলিও জাড় আরো জাকায় আসপে। কার কতা বিশ্বেস করবো কওদিনি বাপু। তেবে এই জাড়েই মনে হচ্চে এই সিজেন আর কাটাতি পারবান্না! তারপরে যদি আরো জাড় জাকায় আসে তার কতা মনে উটলি হুতোশে আকাটা মাইরে যাচ্চি।
পরানে চাচ্চে না ল্যাপ তোষকের মদ্দিত্তে বাইরি আসি। এরমদ্দি চ্যান করার কতাও ভুলে যাচ্চি বারবার। কি কইরে বুজোবে ইডা বয়সের দোষ। বাড়ির লোকে ভাইবদেচে ইডা ইচ্চে কইরেই ভুইলে যাচ্চি। আবার এক ভাইপো আইসে বিষয়ডা বাড়ির স¹লির সুমকি উসকো দেলে। ভাইপোডা কাইল আইসে কচ্চে, চাচা এই জাড়ের মদ্দি চ্যান করিচাও, নাকি সেইবারের ভোটের মতো হইয়ে গেলো। আমি তো পেত্তমে তার কতাডা বুইজে উইটে পারিনি। পরে যকন হেজেমানে কইরে দেলে তকন বিয়াকুপ হওয়ার জুগাড়। ঘটনাডা খুইলে কলি বুজদি যুইত হবেনে। একবার ভোটের মাটে গিলাম ভোট দিতি। ঠ্যালাগুতো খাইয়ে যকন খোপের মদ্দি ঢুকিচি তকন চুতামুতা ঘুইটে একজন কলে, চাচা তুমার ভোটতো হইয়ে গেচে। আমি থতোমতো খাইয়ে কলাম হইয়ে গেচে মানে ! আমি তো এই মাত্তর আসলাম। সে কলে বয়েস বাড়চে ভুলো মন তাই ঠাহর কত্তি পাত্তিচো না। ব্যানবেলায় ভোট দিয়ে হাবরা শেষ বেলায় আবার দিতি আইচাও। আমি যতই কই না’রে বাপু আমি ভোট দিইনি। ততই তারা আমার ওপর খাররা হইয়ে উটতি লাইগলো। শেষমেশ ভোট না দিয়ে খোপেত্তে ঘুইরে বাড়ি চইলে আইসে কইলাম, আমার ভোট দিয়া লাগিনি, ভোট হইয়ে গেচে। সেই কতা মনে করায় দিয়ে ভাইপো টিটকেরী করে, চ্যান করিচি কিনা, নাকি ভোটের মতো চ্যানের ঘরেত্তে ঘুইরে আইসে কব আমার চ্যান কিডা কইরে চইলে গেচে, আমার আর করা লাগবে না।
তেবে এই জাড়ে সব চাইতি দুক্কু লাগে তকন, যকন বহুত কষ্ট কইরে ল্যাপের মদ্দি ঢুইকে হাত পা গরম করার পর যদি পোকিতির ডাক আসে। কিরামডা লাগে কওদিনি বাপু !
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮৮৭১০০৩