এম. আইউব :
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:৫৬ এএম আপডেট: ২৭.০১.২০২৩ ১২:৫৯ এএম |

যশোর শিক্ষাবোর্ডে বদলি আতঙ্ক বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার অনেকটা আকস্মিকভাবে একসাথে দু’কর্মকর্তাকে বদলি করার পর শুরু হয়েছে এই আতঙ্ক।
প্রতিটি শিক্ষাবোর্ডে বেশ কয়েকটি পদে প্রেষণে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়। এসব কর্মকর্তার অধিকাংশ তিন বছর পর্যন্ত শিক্ষাবোর্ডে দায়িত্ব পালন করেন। কেউ কেউ আবার তিন বছরেরও বেশি সময় থাকেন।
বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই যশোর শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক গণিতের সহযোগী অধ্যাপক কেএম রব্বানী ও বিদ্যালয় পরিদর্শক উদ্ভিদ বিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। কেএম রব্বানীকে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ ও সিরাজুল ইসলামকে নোয়াখালীর চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজে পদায়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি কলেজ শাখা-২।
একসাথে ঊর্ধ্বতন দু’কর্মকর্তার বদলি এখন যশোর শিক্ষাবোর্ডে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানীর কর্মকাল চার বছর হয়ে গেছে। এ কারণে তার বদলি স্বাভাবিক হলেও বিদ্যালয় পরিদর্শক সিরাজুল ইসলামের বদলি খানিকটা অস্বাভাবিক। কারণ বিদ্যালয় পরিদর্শক পদে তার মেয়াদ কেবলমাত্র পাঁচ মাসের মতো হয়েছে। এতো অল্প সময়ে বদলি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া না বলে মনে করছেন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী বিদ্যালয় পরিদর্শকের বদলির কারণ জানার চেষ্টা করছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, একসাথে দু’কর্মকর্তাকে বদলির পর প্রেষণে আসা অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরাই আছি এখন আতঙ্কে। কখন কী হয় বলা যাচ্ছে না।’
কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানী যশোর বোর্ড থেকে প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন। তার নেতৃত্বে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর প্রতিবেদনও দাখিল করেন কেএম রব্বানীর নেতৃত্বাধীন কমিটি। বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক দেশজুড়ে আলোচিত মামলাটি তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে দুদক বোর্ডের ৩৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে কেএম রব্বানীও রয়েছেন। দুদকের তদন্ত যখন জোরালোভাবে চলছে ঠিক তখনই বদলি করা হলো কেএম রব্বানীকে।
দু’কর্মকর্তাকে বদলি করা হলেও তাদের স্থলে এখনো পর্যন্ত কাউকে পদায়ন করা হয়নি। এ কারণে শিক্ষাবোর্ডের স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উক্ত দু’পদে কারা আসছেন তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা করছেন। কারা আসছেন সেটি বোঝার চেষ্টা করছেন। নতুন করে যারা আসবেন তাদের সাথে তালমিলিয়ে চলতে পারবেন কিনা সেটি নিয়ে আলোচনা করছেন অনেকেই।