প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ২:২০ পিএম |

চলছে মাঘ মাস, নেই শীতের কোনো দেখা। উল্টো গরমের অনুভূতিতে অনেকেই ভেবে নিয়েছেন বিদায় নিতে যাচ্ছে চলতি মৌসুমের শীত।
তবে আবহাওয়া অফিস বলছে ভিন্ন কথা, বায়ুপ্রবাহের কিছুটা তারতম্য হওয়ায় এমনটা ঘটেছে।
গত কয়েক সপ্তাহ হাড় কাঁপানো শীতের পর গত সপ্তাহ থেকে কমতে থাকে শৈত্যপ্রবাহ, বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে হঠাৎ করেই কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে শুরু করে।
শুক্রবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কুয়াশার প্রবণতা বেড়েছে। সকালের দিকে তা আরও তীব্রতর হয়। তবে এ কুয়াশার সঙ্গে শীত ফিরে আসার সম্পর্ক তেমন নেই।
তিনি বলেন, এ সময় কুয়াশার প্রবণতা স্বাভাবিক। বায়ুপ্রবাহ কুয়াশার সঙ্গে বেশি সম্পর্কযুক্ত। গত কয়েকদিন ঢাকায় বায়ুপ্রবাহের গতি ছিল ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটারের ভেতরে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সর্বনিম্ন এটি ৬ কিলোমিটারে নেমে আসে। বায়ুর বেগ কমে যাওয়ায় কুয়াশা দৃশ্যমান হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সেটি হয়তো কিছুটা কমেছে। তবে শীতের অনুভূতি কুয়াশার কারণে বেড়েছে তেমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই।
যদিও এরইমধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের পূর্বাভাস আবারও পরিস্থিতি পরির্বতনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, রাজধানীতে শীতের অনুভূতি কমে গেছে এটা ঠিক। কিন্তু দেশের উত্তরাঞ্চলে শীত এখনও রয়েছে; যদিও তা কম। তাছাড়া ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে শীতকাল। সে পর্যন্ত কমবেশি শীত থাকবে। এরমধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। তবে এটা এখনও গভীর সাগরে রয়েছে। সেখানে লঘুচাপ সৃষ্টি হলে আবহাওয়ার আরও কিছু পরিবর্তন হতে পারে।
লঘুচাপের প্রভাবে দেশের ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে হাফিজুর রহমান বলেন, লঘুচাপটি পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে রয়েছে। সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী মনে হচ্ছে এটি শ্রীলংকার দিকে যাবে। তবে আমাদের দিকে আসলে কিছুটা বৃষ্টি ঝড়াতে পারে এবং তাতে শীতের অনুভূতি আবারও তীব্রতর হতে পারে। তবে যাই ঘটুক ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত কমবেশি শীত থাকবে।