শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ ১১ চৈত্র ১৪২৯
                
                
☗ হোম ➤ অর্থনীতি
বৈরি পরিস্থিতিতেও কমছে খেলাপি কৃষ ঋণ
ঢাকা অফিস:
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:৫৮ পিএম |
খাদ্য নিরাপত্তার প্রধান নিয়ামক কৃষি ও কৃষক। কৃষকের কাছে অর্থ সরবারহের চেষ্টা করেও তা পুরোপুরি সফল হওয়া যায় না, নানা শর্তের বেড়াজালে আটকে যায়।
কিন্তু তারপরও যে ঋণ কৃষকের কাছে পৌঁছায় তার ফেরতের হার অন্য যে কোনো ঋণের চেয়ে বেশি। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে এমন তথ্য মিলেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর ছয় মাসে কৃষকরা ব্যবহার শেষে ব্যাংককে ফেরত দিয়েছেন ১৬ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা। যা মোট ঋণ স্থিতির ৩২ দশমিক ২২শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ ব্যাংকে ফেরত দিয়েছে ৭ হাজার ২৭৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর ৪৬ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ফেরত দিয়েছেন ৯ হাজার ১৫১ কোটি টাকা। ডিসেম্বর প্রান্তিকে কৃষি ঋণের স্থিতি রয়েছে ৫০ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরে একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) কৃষকরা ফেরত দিয়েছিলেন মোট কৃষি ঋণ স্থিতির ২৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। টাকার অংকে ১৩ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। সে সময় মোট কৃষি ঋণ স্থিতি ছিল ৪৭ হাজার ৬৫৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কৃষকের ফেরত দেওয়ার হার ছিল ২৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে একই সময়ে কৃষকের ফেরত দেওয়ার হার ছিল ৩১ শতাংশ।
কৃষি ঋণ ফেরত দেওয়ার এই প্রভাব কৃষকের খেলাপি ঋণেরও পড়েছে। করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাত সব মিলিয়ে আর্থিক খাতে বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছিল, যা এখনো বিদ্যমান আছে। মানুষের আয় কমেছে, খরচ বেড়েছে। আর এই আঘাতে সঞ্চয় কমেছে। এ কারণে আর্থিক খাতে তারল্য কমছে। এর মধ্যেও কৃষকরা তাদের ঋণের অর্থ ফেরত দিয়েছেন। খেলাপি ঋণও এ সময়ে ফেরত বেড়েছে। আর্থিক খাতের উদ্যোক্তারা এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
তথ্যে দেখা যায়, ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮১৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। যা মোট কৃষি ঋণ স্থিতির ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আগের বছরে একই সময়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। টাকার অংকে যা ৩ হাজার ৭২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। পরিমাণ এবং মোট ঋণের অংশ- দুটোই কমেছে খেলাপি ঋণ।
করোনা মহামারি আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে খেলাপি ঋণের হার ছিল ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ। করোনা মহামারির সময়ে ঋণের কিস্তি না দিলেও খেলাপি হবে না-এ ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। এ কারণে খেলাপি ঋণে কিছু প্রভাব পড়েছে। কিন্তু করোনা পরবর্তী এ সুবিধা উঠে গেলেও খেলাপি কৃষক বাড়েনি।
কৃষি ঋণের মান নিয়ে কথা আছে। প্রশ্ন আছে এনজিওর মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণের ফলে উচ্চ সুদ হার নিয়ে। কিন্তু তারপরও পল্লী অঞ্চল বা কৃষি বিষয়ক ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থায়ন হচ্ছে। তা সময় মতো ফিরে আসার হারও ভাল। এটা কৃষক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্যও ভাল।
উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা ঋণ নিয়ে ব্যবহার শেষে ফেরত দিচ্ছেন বলে মনে করেন কৃষি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে ক্ষতি যেমন হয়েছে, কৃষি ক্ষেত্রে কিছু লাভও হয়েছে। চাষিরা সবজিসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্যের দাম পাচ্ছেন। যে কারণে কৃষকরা টাকা ফেরত দিচ্ছেন। যদিও উৎপাদনের বড় একটি অংশ চলে যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে।
ব্যাংকের ঋণ ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনের ভয় ও নৈতিকতাও অন্যতম একটি কারণ। সামাজিক মূল্যবোধের কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কৃষকরা চেষ্টা করেন কোনো আইনি বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হওয়ার আগেই সময় মতো তা পরিশোধ করতে।
কৃষক ও ব্যাংক সবার জন্য এটা একটি ভাল লক্ষণ বলেও মনে করেন কৃষি ব্যাংকের সাবেক এই প্রধান নির্বাহী।


গ্রামের কাগজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন


সর্বশেষ সংবাদ
বিএনপির রাজনৈতিক কবর রচিত হবে : আমু
আরও ছয় ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে
বন উজাড় করে মাছের ঘের, বসতবাড়ি
রাসিক নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ঘোষণা
কলাপাড়ায় বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
পাবনায় জহুরা ফাউন্ডেশনের ইফতার ও বস্ত্র সামগ্রী বিতরণ
মধুখালীতে অসুস্থ সাংবাদিক বাশারকে আর্থিক অনুদান প্রদান
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
বাঁশ কাবাব, রাজস্থানি তান্দুরি ছিল মূল আকর্ষণ
কেন ঊনসত্তরেও ছিলেন সিঙ্গেল, জানালেন সেই সাবেক অধ্যাপক
৫১ বছর বয়সে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী
ব্যসায়ীকে পথে বসাতে মরিয়া সেই বাশার, থানায় অভিযোগ
রামনগর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত
টাকা শূন্য যশোর ডাকঘর!
খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
আমাদের পথচলা | কাগজ পরিবার | প্রতিনিধিদের তথ্য | অন-লাইন প্রতিনিধিদের তথ্য | স্মৃতির এ্যালবাম
সম্পাদক ও প্রকাশক : মবিনুল ইসলাম মবিন | সহযোগী সম্পাদক : আঞ্জুমানারা
পোস্ট অফিসপাড়া, যশোর, বাংলাদেশ।
ফোনঃ ০২৪৭৭৭৬২১৮২, ০২৪৭৭৭৬২১৮০, ০২৪৭৭৭৬২১৮১, ০২৪৭৭৭৬২১৮৩ বিজ্ঞাপন : ০২৪৭৭৭৬২১৮৪, ই-মেইল : [email protected], [email protected]
কপিরাইট © গ্রামের কাগজ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft