প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:২৯ পিএম |

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মোহাম্মদ মিঠুনের ফিফটির উপর ভর করে ফরচুন বরিশালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে জয় পেয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্স।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৬ রান তোলে বরিশাল। জবাব দিতে নেমে ৭ বল আর ৫ উইকেট অক্ষত রেখে জয়ে নোঙর করে ঢাকা।
১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন ঢাকার দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন। দুজনে মিলে উদ্বোধনী জুটি থেকে করেন ৪৬ বলে ৭৪ রান। ৭.৪ ওভারে এই জুটি ভাঙেন করিম জানাত। ২২ বলে ৩৭ রান করে এনামুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য।
সৌম্য আউট হলে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে নিয়ে ২৯ রান করেন মিঠুন। দলীয় ১০৩ রানে সানজামুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হন মিঠুন। ৩৬ বল থেকে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫৪ রান করেন তিনি। এটিই বিপিএলের নবম আসরে মিঠুনের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। মিঠুনের এই রানে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে সহজ হয় ঢাকার।
মিঠুনের পরে আব্দুল্লাহর সঙ্গে ১৯ রানের জুটি গড়েন ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন। ১৩.৬ ওভারে সানজামুলের বলে আউট হন ২৬ রানে থাকা আব্দুল্লাহ। এরপরে অ্যালেক্স ব্লেককে নিয়ে ১৯ বল থেকে ২৯ রান করেন নাসির। তাতেই জয়ের কাছে র্পৌছে যায় ঢাকা। ১৬ বলে ২০ রান করে নাসির অপরাজিত থাকলেও শেষদিকে ১৫ রান করে ব্লেক এবং ১ রান করে আরিফুল আউট হন। শেষ পর্যন্ত ৭ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় পায় ঢাকা ডমিনেটর্স।
প্রথম ইনিংসে বরিশালের উদ্বোধনী জুটিতে ৬.২ ওভারে ৪২ রান যোগ করে আমির হামজার শিকারে পরিণত হন সাইফ হাসান। আউট হওয়ার আগে ১৯ বল খেলে ৩ চারে ১৫ রান করেন তিনি। ওয়ানডাউনে নামা অধিনায়ক সাকিব দিতে পারেননি আস্থার প্রতিদান। ৪ বলে ৫ রান করে মুক্তার আলির শিকারে পরিণত হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ঢাকার বোলাররা এ সময় চেপে ধরে বরিশালের ব্যাটারদের। যার প্রেক্ষিতে দেখতে দেখতে ৬৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে বরিশাল। ইবরাহিম জাদরান ২ রানে আমির হামজার ও ইফতেখার আহমেদ ১০ রান করে নাসির হোসেনের শিকারে পরিণত হন।
বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে বিজয় ছিলেন ব্যতিক্রম। ৩৫ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৪২ রান করা বিজয় ফেরেন সৌম্য সরকারের বলে। বরিশালের দলীয় রান তখন ৫ উইকেটে ৯২।
সেখান থেকে সালমান হোসেনকে নিয়ে জুটি বাঁধেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটিতে ১৩০ রানের গণ্ডি পেরোয় বরিশাল। ২৭ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৩৯ রান করে শরিফুল ইসলামের শিকারে পরিণত হন তিনি। তার বিদায়ের পর উইকেটে এসে ঝড় তোলেন করিম জানাত। আফগান অলরাউন্ডার মাত্র ৫ বলে করেন ১৭ রান। তার ইনিংসে ছিল ১ চার ও ২ ছয়ের মার।
ঢাকার পক্ষে আমির হামজা ৪ ওভারে ২২ রানের বিনময়ে ২ উইকেট নেন। শরিফুল ইসলাম, সালমান ইরশাদ, মুক্তার আলি, নাসির হোসেন ও সৌম্য সরকার একটি করে উইকেট নেন।