প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:৫৪ এএম |

যশোর মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে এক ইন্টার্নের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন ডাক্তার, ইন্টার্ন ও শিক্ষার্থী। আহত ইন্টার্ন জাকির হোসেন গুরুতর অবস্থায় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হরিশ্বর গ্রামের মৃত শহিদ জামানের ছেলে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় কলেজের ১০৫ নম্বর রুমে। বর্তমানে তিনি করোনারি কেয়ার ইউনিটের তিনতলায় স্টুডেন্ট কেবিনে কঠোর সতর্কতার মধ্যে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় বুধবার যশোর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে ওই কমিটিকে।
আহত জাকির জানান, ইন্টার্ন মেহেদী হাসান লিয়ন, শামীম হাসান ও আকাশ, ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান তানিম এবং বহিরাগত সাকিবরা ১০৪ নম্বর কক্ষে প্রতিনিয়ত মাদকের আড্ডা বসান। রাতভর চিৎকার চেচামেচি করেন। ওই রুমের পাশেই তার রুম। এ কারণে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। ফলে, তিনি প্রতিবাদ করেন। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাত পৌঁনে নয়টায় তারা তার রুমে প্রবেশ করে হকিস্টিক ও জিআই পাইপ দিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। রাত ১১ টা পর্যন্ত মারতে থাকে তাকে। এক পর্যায়ে তার ঘর থেকে নগদ টাকা, মানিব্যাগ ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায় তারা। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অপর একটি সূত্র জানায়, হামলাকারীদের অধিকাংশই ইন্টার্ন। এছাড়া, তাদের হোস্টেলে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে রাতদিন তারা হোস্টেলেই পড়ে থাকে। তাদের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কেউই মুখ খোলার সাহস পায় না। এ বিষয়ে দ্রুতই সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মহিদুর রহমান জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। তিনি জাকিরকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। জাকিরের হাত ও পা ভেঙেছে। বুকের হাড়েও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুতই অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ।