প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৫:৫৩ পিএম |

খুলনার তেরখাদা উপজেলায় জ্বালানী হিসেবে গরুর গোবরের তৈরি করা ঘুটে (মুঠে) বেশ পরিচিত। নি¤œ মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন রান্নার কাজে ব্যবহার করলেও বর্তমানে উপজেলার সকলেরই কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঘুটে। এদিকে গোবরের তৈরি এসব ঘুটে (মুঠে) বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নারীরা।
উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়া এলাকার বিউটি রায় জানান, তৈরি করা ঘুটেগুলো ৫-৭ দিন রোদে শুকানোর পর জ্বালানির উপযোগী হয়। প্রায় সারা বছরই চলে ঘুটে তৈরির কাজ। তৈরি করা ঘুটে মজুদ রেখে জ্বালানি হিসেবে বিক্রিও করা হয়।
আজগড়া এলাকার গৃহবধূ পিংকি বিশ্বাস বলেন, একটি ঘুটে ২ টাকা করে বিক্রি করা হয়। নিজেদের গরুর গোবর দিয়ে ঘুটে তৈরি করে বিক্রি করি। ঘুটে বিক্রির এই টাকা সংসারের উপকার হয়। নিজের কিছু খরচ রেখে বাকি টাকা তুলে দেই স্বামীর হাতে। ছেলেমেয়েদেরও চাহিদা মেটাতে পারি।
গৃহবধু ললিতা রাণী বিশ্বাস জানান, প্রতি মাসে তিনি এক থেকে দেড় হাজার ঘুটে বানাতে পারেন। সেগুলো রাস্তার পার্শ্বে অথবা বাড়ির মধ্যে শুকিয়ে বিক্রি করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামের নি¤œবিত্ত পরিবারের নারীরা বিভিন্ন মাঠ, সড়কের পাশ থেকে কাঁচা গোবর এনে জ্বালানি উপকরণ তৈরি করছেন। এতে গোবরের অপচয় রোধ হচ্ছে। পাশাপাশি জ্বালানি হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। একইসঙ্গে গোবর পোড়ানো ছাই জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করছে।