প্রকাশ: শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৪:১২ পিএম |

বান্দরবানের লামায় বিয়াই বাড়িতে পুত্রবধূকে নিতে এসে হামলার শিকার হলেন চকোরিয়া দরবেশকাটার বাসিন্দা নুরুল আমিন (৬০) নামের এক বাসিন্দা।
২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে দশটায় ফাইতং ওয়ার্ড চিওরতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে বিয়াই বাড়িতে পুত্রবধূকে আনতে গেলে, বেয়াই এর বড় ভাই আবুল কাশেমসহ তার স্ত্রী, কন্যা, ছেলে ও ছেলের বউয়েরা এই হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের দায়ের কোপে নুরুল আমিনের বাঁ চোখ নষ্ট হয়ে যায়। ওই সময় শ্বশুরকে হামলাকারীদের কবল থেকে রক্ষা করতে গেলে শাহনাজ আকতারও (২০) চরমভাবে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় লামা সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনা হলে, কর্তব্যরত ডাক্তার কক্সবাজার পাঠিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার সন্ধায় লামা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: সাজিনাতুল মারুয়ার কাছে আহতদের অবস্থা জানতে চাইলে তিনি জানান, নুরুল আমিনের বাঁ চোখে গুরুতর আঘাত হয়েছে।
আহত শাহানাজ এর পিতা হাশেম আলী ঘটনার দিন রাতে সাংবাদিকদের জানান, আবুল কাশেম তার আপন বড় ভাই। "ভাই ও তার স্ত্রী সন্তান, নাতীসহ পরিবারের ৭জন মিলে আমার মেয়ের শশুর ও মেয়েকে হামলা করে''। এর কারন হিসেবে জানান, বড় ভাই কাশেম ছোট ভাই হাশেমের জমিজমা জবর দখলে লিপ্ত রয়েছে। এতদ বিষয়ে ভ্রাতৃদ্বয়ের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব লেগে আছে। এদিকে চকোরিয়া উপজেলার বাসিন্দা নুরুল আমিন তাদের সাথে আত্মীয়তা করে, দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বে রক্তাক্ত হামলার শিকার হয়ে একটি চোখ হারাতে হলো। আহত শাহানাজ জানান, তার শশুর বাড়ির লোকগুলো খুবই ভালো, সেখানে সে সুখে সংসার করছেন। কিন্তু তার আপন জেঠা আবুল কাশেম এর পরিবার তার এই সুখের সংসার ধ্বংস করতে চাচ্ছে। এ ব্যপারে তারা আইনের আশ্রয় নিবেন, তবে কিভাবে কোথায় গেলে বিচার পাবেন, সেটা তারা জানেন না বলেও জানান। হামলার সময় তারা "৯৯৯" এ ফোন করলে, লামা থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়। কিন্তু তাদের কাছে থানার নাম্বার না থাকায় যোগাযোগ করতে পারেনি বলেও জানান তারা। এ দিকে জানতে চাইলে, লামা থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, "বিষয়টি জানেন না। অভিযোগ পেলে আইনগত সহযোগিতা করা হবে।"