
যশোরের বাজারে বেড়েছে ডিম ও মুরগির দাম। চাল, আটা, চিনি, সয়াবিন তেল, মশলায়ও স্বস্তি নেই। কাঁচা ঝালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে, কিছুটা কমেছে জিরার দাম।
শুক্রবার যশোরের বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগি ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৩০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিতে। গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের দাম ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজিতে। ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা হালিতে। যা গত সপ্তাহে ৪০ টাকা হালিতে বিক্রি হয়। সোনালি মুরগির ডিমের দাম ৪৪ টাকা হালি। দেশি মুরগির ডিম ৫৬ টাকা হালি। হাঁসের ডিম ৬৮ ও কোয়েল পাখির ডিম ১২ টাকা হালি।
ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই মশলার বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তবে, এরই মধ্যে কিছুটা কমেছে জিরার দাম। এ সপ্তাহে জিরা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা কেজিতে। দারুচিনি ৩৮০ থেকে ৪৮০ টাকা কেজি। এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৮০ টাকায়। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। আদা ১০০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি।
কমেনি কাঁচাঝালের দাম। শুক্রবার যশোরের বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি কাঁচাঝাল বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০, বাধাকপি ১৫ থেকে ২০, শিম ৩০ থেকে ৩৫, ওলকপি ২০, পেঁয়াজের কলি ১৫ থেকে ২০, গাজর ৩০, মুলা ৩০, পালং শাক ১০ টাকা আঁটি, টমেটো ১০ থেকে ২০, ব্রুকলি ৩০, বিট কপি ৫০, গাজর ৩০, মটরশুটি ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, পেঁপে ১৫ থেকে ২০, বেগুন ৩০ থেকে ৪০, উচ্ছে ১০০ থেকে ১২০, কাঁচকলা ৩০, কচুরলতি ৪০, লাউ ৩০ থেকে ৫০, শসা ৩০ থেকে ৫০, পুরানো আলু ২০, নতুন আলু ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৮ টাকায়। এছাড়া, আঠাশ চাল ৫৮ থেকে ৬২, কাজললতা ৬২ থেকে ৬৪, মিনিকেট ৬৭ থেকে ৭০, বাসমতি ৭৮ থেকে ৮০ ও নাজিরশাইল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্যাকেট আটা ৬৫, খোলা ময়দা ৭০, প্যাকেট ময়দা ৮০, খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা লিটার, চিনি ১১০ থেকে ১২০, লবণ ৪০, বুটের ডাল ৭০, ছোলার ডাল ৯০, মসুরের ডাল ৯৫ থেকে ১৪৫ ও মুগ ডাল ১০০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।