প্রকাশ: সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১১:৫৯ পিএম |

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, জঙ্গি সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি দমনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে আসছে বাংলাদেশ পুলিশ। বোমা ও আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। যশোর তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের নির্মূলে কাজ করেছে এবং করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বাংলাদেশ পুলিশও আজ স্মার্ট। মানুষের জান-মাল রক্ষায় পুলিশ অতন্দ্র প্রহরী। এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে রক্ত দিয়েছে পুলিশ। আবার বঙ্গবন্ধুর প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টায়ও প্রাণ দিয়েছে এই পুলিশ সদস্য। জনতার পাশে পুলিশ। এখন থানায় গেলেই সেবা। সেবা মানুষের দোড় গোড়ায় নিতে পুলিশ কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে। ২০৪০/২০৪১ সালের ভিষণ অর্জণেও বদ্ধ পরিকর পুলিশ বাহিনী।
৬ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা পুলিশের বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
যশোর পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত অনুষ্ঠান এদিন বিকেল ৩ টা ১০ মিনিটে বেলুন উড়িয়ে এবং ক্রীড়া মশাল প্রজ্জ্বনের মাধ্যমে উদ্বোধন ঘোষণা করেন পুলিশ প্রধান।
পুলিশের কুচকাওয়াজ ও প্যারেড দলের অভিবাদন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন নিয়ে মনমুগ্ধকর ডিসপ্লে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করে তোলে। এছাড়া দেশের উন্নয়নমূলক গানের সাথে দলীয় নৃত্য বিশেষ মাত্রা যোগ করে অনুষ্ঠানে। আর অনুষ্ঠান উপলক্ষে পুলিশ লাইন্স মাঠে দৃষ্টি নন্দন সাজসজ্জা, প্রবেশ পথে শোভা পায় রঙ বেরঙের ফেস্টুন, প্যানা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী ডাক্তার তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী ও খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক বিপিএম বার পিএিম। যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম বার পিপিএম এর সভাপতিত্বে সকল আয়োজন সমপন্ন হয়। আইজিপি বিকেল ৩ টা ৫ মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেন। ৩টা ৮ মিনিটে অভিবাদন গ্রহণ করেন প্যারেড দলের। সপথ বাক্য পাঠ করে খেলার প্রস্তুতি শুরু হয়। খেলার বিভিন্ন ইভেন্টের মধ্যে ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৫০ মিটার হাঁটা প্রতিযোগিতা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের ৮০ মিটার দৌঁড়, নারী জনপ্রতিনিধিদের ৮০ মিটার হাঁটা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের ১০০ মিটার হাঁটা, ইন্সপেক্টরদের ৮০ মিটার দৌঁড়, উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও ভিআইপিদের বেলুন ফাটানো খেলা, ছোটদের বিস্কুট খাওয়া দৌঁড়, যেমন খুশি তেমন সাজো ও কলা গাছে ওঠা প্রতিযোগিতা।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি আইজিপি ও বিশেষ অতিথি বৃন্ধ। যশোরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ আমন্ত্রিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।