প্রকাশ: বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:৫৮ পিএম |

যশোর প্রধান ডাকঘরের সেই সমালোচিত সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল আব্দুল বাকীকে বুধবার স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে খুলনা পোস্টাল ট্রেনিং সেন্টারে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসাথে তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। যশোর ডিপিএমজি অফিসের সুপারিনটেনডেন্ট গোলাম রহমান পাটওয়ারীকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণাঞ্চল খুলনার পোস্ট মাস্টার জেনারেল শামসুল আলম। আব্দুল বাকীর অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পরপরই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে পোস্টাল বিভাগে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
সূত্র জানায়, যশোর প্রধান ডাকঘরে এক মৃত ব্যক্তির ১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে একটি চক্র। যার নেপথ্যে ছিলেন সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল আব্দুল বাকী। যে ব্যক্তি এই কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন তার সাথে আব্দুল বাকীর সখ্য ছিল চোখেপড়ার মতো। বাকীর রুমে তাদের আড্ডা চলতো। ওই মৃত ব্যক্তির টাকা উত্তোলনের সময় এক কর্মকর্তার চোখে তা ধরা পড়ে। অথচ আব্দুল বাকী তাকে চেনেন না বলে জানান। বাকীর বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রয়েছে নানা অভিযোগ। তার বাড়ি যশোরে হওয়ায় তিনি সকলের সাথে খারাপ ব্যবহার ও বদলি করে দেয়ার নামে বাণিজ্য করেন বলে অভিযোগ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এসব অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেয় কর্তৃপক্ষ। এ কারণে বুধবার বেলা ১১ টায় তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, আব্দুল বাকী মৃত অনেক গ্রাহকের টাকা হজম করেছেন। যার কিছু টাকা তাকে ফেরতও দিতে হয়েছে।
এদিকে, আব্দুল বাকীর অপসারণের খবরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আব্দুল বাকীর অনিয়ম দুর্নীতির তদন্তপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পোস্ট মাস্টারের দায়িত্ব পাওয়া যশোর ডিপিএমজি অফিসের সুপারিনটেনডেন্ট গোলাম রহমান পাটওয়ারী বলেন, বুধবার দুপুরে তিনি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে যোগদানের আদেশ পান। পরে দায়িত্ব বুঝে নেন।
দক্ষিণাঞ্চল খুলনার পোস্ট মাস্টার জেনারেল শামসুল আলম গ্রামের কাগজকে বলেন, তারা সব অভিযোগ আমলে নিয়েছেন। আব্দুল বাকীকে তাৎক্ষণিক খুলনা পোস্টাল ট্রেনিং সেন্টারে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। সেখানে কোনো ধরনের অর্থনৈতিক লেনদেনের সুযোগ নেই। যশোরের বিষয়ে যাচাই বাছাই করার জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাই তদন্ত করে প্রতিবেদন দিবেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।