প্রকাশ: বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৯:১২ পিএম |

ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া তুরস্ক এবং সিরিয়ায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু ৬ হাজার পার হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃতের সংখ্যা এর আটগুন বাড়তে পারে। এখনো শত শত ধ্বংসস্তুপের নিচে হাজারও পরিবার আটকা পড়ে আছে। সেখান থেকে ভয়েজ ম্যাসেজ কিংবা অন্য কোনোভাবে ভেসে আসছে হাজারও মানুষের বাঁচার আকুতি। তবে এখনো আকুতি জানানো জীবিত মানুষগুলোর কতোভাগ উদ্ধার সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। স্তুপের নিচে চাপা পড়া এখনো বেঁচে থাকা মানুষগুলোর বাঁচার সময়ও কমে আসছে। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে একটি উদ্ধারকারী দল যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও জরুরি চিকিৎসাসেবা দল পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। দলে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচজন করে সদস্য থাকবেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি উইংয়ের মহাপরিচালক সেহেলি সাবরিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে উদ্ধারকাজে অংশ নিতে উদ্ধারকারী দল পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে। সেই সঙ্গে জরুরি চিকিৎসাসেবা দল পাঠানোর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সেহেলি সাবরিন আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ১০ জনের দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হতে পারে। দলে কারা থাকবেন, কী সরঞ্জাম, উপকরণ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কাজ চলছে। সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। এরই মধ্যে দুই দেশে নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা আট গুণ বাড়তে পারে সতর্ক করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের উদ্ধারে দুই দেশেই এখন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে জোর তৎপরতা চলছে। তবে তীব্র ঠা-া উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কাও করছেন। আমরা তাদের প্রতি গভীরভাবে সহানুভূতি জানাই।