যশোর মনিহারেত্তে মুড়লি পন্তিক রাস্তাডা ফুলোয় থাইকে গ্যালো। বছরের পর বছর চইলে গেল তবু বতি হইলো না, বতি না হলি পাকপে কিরাম কইরে! পিচির রাস্তা ইটির সোলিং দিয়েই মচ্চিমুলামে চইলে যাচ্চে বচরের পর বচর। সড়ক ও জনপত বিভাগেত্তে পাওয়া খবরে জানা গেচে, ২০১৫-২০১৬ অত্তবছরে পালবাড়ি-দড়াটানা-মনিহার-মুড়লি রাস্তা ফেত্তেতে গড়ার জন্যি পৌনে সাত কোটি টাকা খচ্চা করা হয়। ২০১৬ সালে রাস্তাডা গইড়ে দিয়ে খচ্চাপাতি তুইলে নিলেন কন্টাক্টার চাচারা। কয়দিন যাতি না যাতি রাস্তার প্যাটে গ্যাস উটা শুরু হইলো। পিরায় জাগায় রাস্তার প্যাট ফুইলে উটতি লাইগলো। রাস্তার মদ্দি থুমোপানা উটার কারনে হররোজ একসিডেন হতি লাইগলো। ঐ রাস্তায় চলতি যাইয়ে বহুত লোকের জানও খ্যায় হইয়ে গেচে। বিনি পয়সার পাউডার মাইকে বহুত লোকের নুরানী চিহারাও বুনো হইয়েচে। এরমদ্দি বিস্টি বাদল আসতিই রাস্তার মাতাত্তে পিচ উইটে টাকপানা হইয়ে গিলে। খাবলা খাবলা উইটে খানা খন্দ আর গত্তগাড়া হইয়ে গিলো। এই সব নিয়ে কম কতা আর চিটি চালাচালি হয়নি। তার মদ্দি খবর চাউর হয় যশোরে জাতীয় মহাসড়ক চার লেন পোকল্পের মদ্দি পইড়েচে রাস্তাডা। আশায় বুক বান্দিল সবাই। কিন্তুক  সেই আশার হাউসও পাইনসে হতি চলেচে। ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর দিয়া সব্বশেষ দিয়া কাজের অডারের মিয়াদ ছিলো ৩১ ডিসেম্বর পন্তিক। গ্যালো বছরের ডিসেম্বর চইলে গেলিও রাস্তার দশা যে লাউ সেই কদু। খাতা কলমের হিসেব মতে একনো তিন ভাগের এক ভাগেরও কম কাজ হইয়েচে। দেড়ি কাজ শেষ করার জন্যি আরও দেড় বছর সুমায় বাড়ায় নিয়া হইয়েচে। একন নতুন কইরে তাগায় থাকতি হবে ২০২৩ সালের জুন পন্তিক। এতিই বুজা যাচ্চে কাজ কট্টুক আইগোচে। সড়ক ও জনপত বিভাগেত্তে কওয়া হচ্চে রাস্তার জাগায় পাচিল, জাগা বেদখল, কোনটোয় বরাদ্দ নিয়ে চারতালা দালান তুলা, দুকানঘর গড়া আর দুডো স্তম্ভ মিলোয়ে কাজের শামুক গতি। রাস্তা গড়াতো দূরির কতা জাগাডায় দকলে নিতি পারিনি ঐ সব জাগায়। ভবদহ যিরাম পানিতি, সিরাম মনিহার মুড়লি রাস্তা ড্যাঙ্গায় যশোরের দুক্কু হইয়ে থাইকলো। খুদাতালায় ভালো কতি পারেন এই যন্তরনাতে কবে মুক্তি পাওয়া যাবে। আলাম কনে, মলাম যে !
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮৮৭১০০৩