প্রকাশ: রোববার, ৫ মার্চ, ২০২৩, ১০:০২ পিএম |

উৎপাদন ব্যয় বেশি হওয়ায় ডিজেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। কয়লা, গ্যাস ও ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুতের ওপর ভর করেই মেটানো যাবে গ্রাহক চাহিদা। গত বছর জুলাইয়ে সাশ্রয়ী নীতিতে বন্ধ করে দেওয়া হয় ডিজেলভিত্তিক সব কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। তবে লোডশেডিং পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেকটা বাধ্য হয়েই আগস্টে আবারো ফিরতে হয় এসব কেন্দ্রে। তবে সেদিকে আর যেতে চাইছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। এরই মধ্যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, জুনের পর থেকে ডিজেলভিত্তিক সব কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) যেখানে ইউনিটপ্রতি পাইকারি বিদ্যুৎ ৭ টাকা দরে বিক্রি করছে বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে, সেখানে গত অর্থবছরেও ডিজেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়েছে ৩৫ টাকার বেশি। এমন পরিস্থিতিতে ব্যয় সাশ্রয় আর ডলারের ওপর চাপ কমাতে আমদানি করা এ জ্বালানিতে নির্ভরশীল কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। আর এ সিদ্ধান্তের পাশাপাশি ভরসা জোগাচ্ছে পায়রা-রামপাল-আদানির মতো কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্যাস, কয়লা পেলে ডিজেলে এই মুহূর্তে আমাদের হাত দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। গ্যাস থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট প্লাস, আর কয়লা থেকে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াটের মতো হতে পারে। বাকিটা লিকুইড ফুয়েল ফার্নেস অয়েল থেকে পাব। এখান থেকে মোটামুটি ৫ হাজার মেগাওয়াট হলেই আমাদের হয়ে যাবে। বেশি উৎপাদন ব্যয়ের হওয়ায় ডিজেলনির্ভরতা থেকে বের হওয়াকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে একইসঙ্গে অন্য জ্বালানির পর্যাপ্ত সংস্থান নিশ্চিত করতে না পারলে শঙ্কা রয়েছে বিপর্যয় বাড়ার।
ক্যাপটিভ পাওয়ার বাদে বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৩ হাজার মেগাওয়াট। এর মধ্যে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষমতা ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতির উত্তরণ জরুরি।