প্রকাশ: সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩, ১১:১৯ পিএম |

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় রেসকোস মাটে দিয়া ভাষনডা ছিল এক ঐতিহাসিক ভাষণ। তিনি দুপার ২ডো ৪৫ মিনিটি শুরু কইরে বিকেল ৩ ডে ৩ মিনিটি শেষ করিলেন। মাত্তর ১৮ মিনিটির এই ভাষন ছিল আমাগের স্বাধীনেতা আর মুক্তি সংগিরামের সব নিদ্দেশনা।
১৯৭০ সালে আমলীগ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ভোটে সব চাইতি বেশি সিট পাইলো। যা পাকিস্তানি সামরিক সরকার চিন্তাও কত্তি পারিলো না ফলডা ইরাম হবে। ভোটের ফল উল্টো যাওয়ায় পাকিস্তানিরা টালটু বালটু করা শুরু করে। তাইগের এই কাজের হেতু এট্টাই ছিলো যে কইরেই হোক ছলে ছুতোয় ক্ষেমতা নিজিগের গাটিতি রাকপে। এই খুয়াবে তারা এট্টার পর এট্টা কুটনাপানা কত্তি থাকে। পাকিস্তানের পেসিডেন ইয়াহিয়া খান ৭১ সালের ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অদিবেশন ডাকিলেন। সবাই যকন পোস্তুতি নিচ্চিলেন স্যানে যাওয়ার। এরমদ্দি হটাস কইরে পয়লা মার্চে অদিবেশন কাইজে দিয়া হয়। কবে হবে সিডাও তারা ঝাড়া কোন কতা কইলেন না। তাইগের তলশুড়া উদ্দেশ্য ছিল যাতে আমাগের হ্যারেজ খাওয়ায়ে তারাই ক্ষেমতায় চইড়ে বসপে। এই খবর চাউর হলি বঙ্গবন্ধুর ডাকে ২ মার্চ ঢাকায় আর ৩ মার্চ সারাদেশে একযোগে হরতাল হইলো। বঙ্গবন্ধু ৩ মার্চ পল্টন ময়দানের এক বিশাল জনসভায় সার্রা বাংলায় একযোগে অসহযোগ আন্দোলনের কম্মসুচি ঘোষণা করেন। এই কম্মসুচির অংশ হিসেবেই ৭ মার্চ রেসকোস মাটের জনসভায় বিপুল লোক অংশ নিয়ায় জনসমুদ্দুর হইয়ে গিলো। সেই জনসমুদ্দুরি বঙ্গবন্ধুর দরাজ গলায় দিয়া সেই ভাষনে সবাই ঝাপায় পড়িলো মুক্তিযুদ্দোয়।
পাকিস্তান সরকার রেডুয়া আর টিবিতি এই ভাষন পোচারে বারন দিলো। তবু সেই বারন না শুইনে সেই সুমায়কার পাকিস্তান আন্তরজাতিক চলচ্চিত্র কর্পোরেশনের চিয়ারম্যান এ এইচ এম সালাহউদ্দিন চাচা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক একইসঙ্গে সেই সুমায়কার ফরিদপুর জিলার পাচ আসনের সংসদ সদস্য এম আবুল খায়ের চাচা ভাষনডা ধারণ করার সাহসী সিদ্দান্ত নিলেন। তাইগের এই কাজে সাহায্য করিলেন সেই সুমায়কার পাকিস্তান সরকারের চলচ্চিত্র বিভাগের চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনিতা আবুল খায়ের চাচা, যিনি ভাষনের ভিডিও ধারণ করিলেন। তাইগের সঙ্গে তৎকালীন তথ্য মুন্ত্রণালয়ের সাউন ইঞ্জিয়ার এইচ এন খোন্দকার চাচা ভাষনের অডিও রিকাড করিলেন। একন এই ভাষন সারাবিশ্বের দলিল।
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮ ৮৭১০০৩